বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিরাপত্তা-ঝুঁকিতে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:০০

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্মাণ করা পাঁচটি ভবনই প্রচলিত বিল্ডিং কোড না মেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের প্রাচীর ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিডিএ এবং কেপিআই ডিফেন্স কমিটির ছাড়পত্রও নেয়া হয়নি। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন কেপিআই নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের প্রাচীর ঘেঁষেই গত চার দশকে পাঁচটি ভবন নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভবন নির্মাণে অনুসরণ করা হয়নি প্রচলিত বিল্ডিং কোড।

কোর্ট হিলে ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবন কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশেই। অথচ এ ক্ষেত্রে ভবন নির্মাণের আগে কেপিআই ডিফেন্স কমিটির অনুমোদনও নেয়নি আইনজীবীদের সংগঠনটি।

ভবনগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিআইয়ের নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকি বিবেচনায় এবার এগুলো অপসারণে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই ভবনগুলো পর্যালোচনা করে এমন নির্দেশনা দেন।

পুলিশের এই বিশেষ শাখা থেকে ভবনগুলো অপসারণ করে খাসজমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আইনজীবী সমিতির ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে চিঠি দেন। এরপর সুরক্ষা বিভাগ থেকে আইনজীবীদের নির্মাণ করা পাঁচটি ভবন অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবর চিঠি দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ আইনজীবী সমিতির ভবনগুলো পর্যালোচনা করে। এর পরই জেলা প্রশাসককে এই চিঠি দেয়া হয়।

জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের কাছে ইস্যু করা স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার জাহিদ হোসেন ভূঞার সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ব্যাংককে ১-ক শ্রেণির কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) হিসেবে ঘোষণা করে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্মাণ করা পাঁচটি ভবনই প্রচলিত বিল্ডিং কোড না মেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের প্রাচীর ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিডিএ এবং কেপিআই ডিফেন্স কমিটির ছাড়পত্রও নেয়া হয়নি। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন কেপিআই নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা ও প্রেক্ষাপটে কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা ২০১৩-এর ১০.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ১-ক শ্রেণির কেপিআই চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়াল ঘেঁষে সরকারি খাসজমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা পাঁচটি ভবন কেপিআই নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। যে কারণে তা অপসারণ ও খাসজমি অধিগ্রহণ করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হলো।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কোর্ট হিলে আইনজীবী সমিতির নতুন ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতি দ্বন্দ্বে জড়ায়। সম্প্রতি ভবন নির্মাণে আইনজীবী সমিতি গাছ কাটলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এর আগে কোর্ট হিলে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সরকারি ২৫ দপ্তর থেকে চিঠি দেয়া হয়। এবার আইনজীবী সমিতির এসব ভবন অপসারণে যুক্ত হলো পুলিশের বিশেষ শাখা।

পাঁচ ভবন অপসারণে চিঠি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। কেপিআই ডিফেন্স কমিটি এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিদর্শন করবে। কোন কোন জায়গা অধিগ্রহণ করতে হবে সেটি দেখবে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করবে।’

তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভবন অপসারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেয়ায় এখতিয়ার পুলিশের বিশেষ শাখার নেই। আমরা বিল্ডিং কোড ও সিডিএর অনুমোদন নিয়েই ভবন নির্মাণ করেছি। এখন নির্মাণের এত বছর পর নিরাপত্তার কথা বলে অপসারণ করতে বলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এ বিভাগের আরো খবর