যশোর সদর ইউনিয়নের কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে সদস্য পদে কে জিতেছেন, এই বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
ভোটের দিন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমানকে জয়ী ঘোষণা করেন। তবে সরকারি গেজেটে পরে নাম আসে শামসুর রহমান।
গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোট হয় কাশিমপুরে। সন্ধ্যায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মতিয়ার রহমানকে ১৫ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন মিরাপুর দাখিল মাদ্রাসায় দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।
তার স্বাক্ষরিত ফলাফলের কপি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর এজেন্টরা বুঝে নেন।
ফলাফল অনুযায়ী, টিউবওয়েল প্রতীকে মতিয়ার রহমান পান ৬৬৬ ভোট। অন্যদিকে দ্বিতীয় হওয়া শামসুর রহমান তালা প্রতীকে পান ৬৫১। ব্যবধান ১৫ ভোট। এরপর মতিয়ার রহমানকে মেম্বার ঘোষণা করে গলায় ফুলের মালা দিয়ে বিজয় মিছিল করে তার কর্মী-সমর্থকরা।
অন্যদিকে ২৭ জানুয়ারি প্রকাশ পায় সরকারি গেজেট। তাতে বিজয়ী হিসেবে নাম পাওয়া যায় পরাজিত প্রার্থী শামসুর রহমানের।
বিষয়টি কীভাবে ঘটল, সে বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গেজেটে উল্লেখ আছে, ‘কাশিমপুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শামসুর রহমানকে বিজয়ী দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনে পাঠান।’
গেজেটে নিজেকে মেম্বার দেখার পর বসে নেই শামসুর। ওয়ার্ডবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিয়েছেন বিবৃতি।
তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রেও তিনি বিজয়ী ছিলেন। তবে একটি পক্ষ প্রভাব খাটিয়ে অন্যকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
গেজেটে সত্য দেখানো হয়েছে বলে দাবি করেন শামসুর রহমান।
কেন্দ্রে বিজয়ী ঘোষিত মতিয়ার রহমান জানান, সব প্রার্থীর এজেন্টদের সামনে রেখে ভোট গণনায় তিনি বিজয়ী হন। তবে গেজেটে তার নাম না আসায় হতবাক হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে চিঠি পাঠাবেন জানিয়ে তিনি আইনি লড়ায়ের ঘোষণাও দেন।
ওই ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলামও এই বিষয়ে অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের ফলাফলে মতিয়ার রহমানকে ১৫ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে কি কারণে গেজেটে তার নাম আসল না, সেটি বোধগাম্য নয়।’