রাজধানীর মাছবাজারগুলোতে গেলেই চোখে পড়ে মাছের ডালার ওপরে লাল, সবুজ, হলুদসহ নানা রঙের লাইট। বিভিন্ন রঙের মাছকে বিভিন্ন রঙের লাইট দিয়ে তাজা দেখানো হয়। এই লাইটের কারণে তাজা মাছ ভেবে ক্রেতারা নিয়মিত ধোঁকা খান।
রাজধানীর দুটি কাঁচাবাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে কয়েকটি দোকানকে জরিমানা করার পাশাপাশি এই ধরনের লাইট ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করে এসেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাছ বিক্রেতা নিউজবাংলাকে জানান, চিংড়ি মাছকে তাজা দেখানোর জন্য সবুজ লাইট ব্যবহার করা হয়। রুই মাছে দেয়া হয় হলুদ লাইট। এ ছাড়া মাছের ফুলকায় ব্যবহার করা হয় রক্ত ও রং। চাষের বোয়াল মাছের শরীরেও রং দিয়ে নদীর বোয়াল বলে চালানো হয়।
সোমবার দুপুরে নিউ মার্কেট মাছবাজারে ভোক্তা অধিকারের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহারিয়ারের নেতৃত্বে একটি দলকে অভিযানে যায়। দলটি জরিমানার থেকে সচেতনতার দিকেই বেশি জোর দেয়।
মঞ্জুর শাহারিয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন মাছের বাজারে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন রঙের লাইট ব্যবহার করেন। যেমন চিংড়ি মাছের ওপরে সবুজ লাইটসহ লাল, অতি উজ্জ্বল ও হলুদ ইত্যাদি রঙের লাইট ব্যবহার করে। আমরা বাজার কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছি এবং সতর্ক করেছি। তারাও যেন তাদের মতো করে সতর্কতা বাড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘সব ব্যবসায়ীর প্রতি আমাদের একটাই অনুরোধ থাকবে, মানুষকে ধোঁকা দিয়ে যেন ব্যবসা না করে। মানুষ যেন বিভিন্ন রঙের আলোতে মাছ তাজা ভেবে বাসায় গিয়ে প্রতারিত না হয়।’
শান্তিনগর কাঁচাবাজারের ফলের দোকানে মূল্যতালিকা না থাকায় দোকানিদের সতর্কও করেন মঞ্জুর শাহারিয়ার।