বিদায়ী নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিচারের সম্মুখীন করতে চান জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বিচারের দাবিতে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী জোটের অন্যতম এই নেতা।
সোমবার দলের দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবুল মোবারক তার ওই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠান।
রবের দাবি, বিদায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে খাদের কিনারে রেখে যাচ্ছেন।
পাঁচ বছরে নানা আলোচিত-বিতর্কিত নির্বাচনের পর সোমবার বিদায় নিয়েছেন কে এম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয় এই কমিশন।
বিবৃতিতে রব বলেন, ‘সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করেছে। নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন সরকারের অনুগ্রহভাজন হয়ে জনগণকে প্রতারিত করেছে।’
হুদা কমিশনের ‘জন্ম এবং অপকর্ম’সবই সরকারের মদদে হয়েছে বলে মনে করেন জেএসডি সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘নূরুল হুদা কমিশনের নির্বাচনের নামে দিনের ভোট রাতে করার মত কলঙ্কের স্মৃতি গণতন্ত্রকামী দেশবাসীকে অবিরাম কষ্ট দিতে থাকবে। একের পর এক নির্বাচন হয়েছে আর ব্যর্থতার ঝুলি পূর্ণ করেছে এই কমিশন।
‘আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে সিইসিসহ অন্য তিন কমিশনার নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন বরাবরই। ব্যতিক্রম ছিলেন একমাত্র কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেছেন।’
হুদা কমিশন সরকারের হাতে জনগণের ক্ষমতা অবৈধভাবে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রব। বলেন, ‘সাংবিধানিক দায়িত্ব উপেক্ষা ও লঙ্ঘন করেছে ইসি। সরকারের হাতে জনগণের ক্ষমতা অবৈধভাবে তুলে দেয়ার অপরাধে বিদায়ী নির্বাচন কমিশন অপরাধী। তারপরও মেয়াদ শেষে তাদের নিরাপদে চলে যাওয়া গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে বিচারের সম্মুখীন না করলে রাষ্ট্রীয় যেকোনো প্রতিষ্ঠান সংবিধান লঙ্ঘনে উৎসাহিত হবে এবং এই প্রবণতা ভবিষ্যতেও সর্বগ্রাসী শাসনের দিকে নিয়ে যাবে।’