প্রেমিকার অশ্লীল ছবি তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়া এবং পরিবারের কাছে চাঁদা দাবির মামলায় রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
রায়ে আসামিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক।
সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত যুবকের নাম ইমরান শেখ ওরফে ইমন। নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বিলগোপালহাটি গ্রামে তার বাড়ি।
২০১৯ সালে যখন মামলাটি হয়, তখন ইমরান ঢাকার শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর তাকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার এক তরুণীর সঙ্গে ইমরানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তী সময়ে ইমরানের আচরণ ভালো না লাগার কারণে ওই তরুণী যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ইমরান ওই তরুণীর ছবি এডিট করে ছড়াতে শুরু করেন। ওই তরুণীর বান্ধবীসহ বিভিন্নজনের ফেসবুক মেসেঞ্জারে তিনি অশ্লীল সেসব ছবি ছড়াতে থাকেন।
পরবর্তী সময়ে ওই তরুণীর মাকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দেয়ায় তিনি আরও বেশি ছবি ছড়াতে থাকেন। এ নিয়ে ওই তরুণীর বাবা চাঁদা দাবি ও অশ্লীল ছবি ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই ইমরানের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। আদালত মোট সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় দিলেন।
আইনজীবী ইসমত আরা জানান, আদালত একটি ধারায় আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্য আরেকটি ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার এ অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে আসামিকে। একটি সাজা কার্যকরের পর অন্যটি কার্যকর হবে। জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী তরুণী পাবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন।