বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবার সম্পত্তিতে হিন্দু নারীর অংশ কেন নয়: হাইকোর্ট

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:৪৬

মুসলমানদের মধ্যে উত্তরাধিকার সম্পত্তির ভাগাভাগি হয় মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী। অন্যদিকে ১৯৩৭ সালের হিন্দু আইন অনুযায়ী, মেয়েরা কোনো সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নন। তবে বিধবা হওয়ার পর সন্তান নাবালক থাকা অবস্থায় তারা শুধু বসতবাড়ির অধিকারী হন।

হিন্দু নারীকে তার বাবার সম্পদের ভাগ না দেয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।

এ-সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।

আইনসচিবসহ আটজন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে আদালত। ওই দিন এ বিষয়ে মতামত গ্রহণের জন্য অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

বাংলাদেশে সম্পত্তির উত্তরাধিকার আইন কোনো একক বিষয় নয়। মুসলমান ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃত্যুর পর আলাদা আইনে তা নির্ধারণ হয়।

মুসলমানদের মধ্যে উত্তরাধিকার সম্পত্তির ভাগাভাগি হয় মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী। অন্যদিকে ১৯৩৭ সালের হিন্দু আইন অনুযায়ী, মেয়েরা কোনো সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নন। তবে বিধবা হওয়ার পর সন্তান নাবালক থাকা অবস্থায় তারা শুধু বসতবাড়ির অধিকারী হন।

মুসলিম পারিবারিক আইনে সম্পত্তির ভাগাভাগির নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে কোরআনে থাকা সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা থেকে। অন্যদিকে হিন্দু শাস্ত্রে মেয়েদের মধ্যে উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টনের বিষয়ে কিছু বলা নেই। তাই সম্পদের ভাগাভাগির ক্ষেত্রে ফ্যামেলি ল অর্ডিন্যান্স অনুসরণ করার কথা বলা হলেও সেটি মানা হয় না। এ কারণে মেয়েরা বাবার বাড়ির সম্পদের ভাগ পায় না।

হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ‘যুগোপযোগী’ করতে ২০১২ সালের ৭ আগস্ট একটি নতুন আইনের সুপারিশ করে আইন কমিশন। সেখানে সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকারসহ ৯ দফা সুপারিশ করা হয়। তবে এ বিষয়ে পরে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার।

এরপর ২০১৮ সালে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংস্কারের প্রস্তাব তৈরির কাজ শুরু করে ‘হিন্দু আইন প্রণয়নে নাগরিক উদ্যোগ জাতীয় কোয়ালিশন’। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নিয়ে ‘হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ২০২০’-এর খসড়া তৈরি শেষ হয় গত বছরের মার্চে।

খসড়া আইনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, “আইনটি ‘হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, ২০২০’ নামে অভিহিত হবে। এটি সমগ্র বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিক ও যারা হিন্দু ধর্ম পালন করেন তাদের ওপর প্রযোজ্য হবে এবং সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে আইনটি কার্যকর হবে।”

তবে সেই আইন এখনও করা হয়নি।

হিন্দু নারীদের পিতার সম্পদের ভাগ না পাওয়ার এই রীতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করা হয়। বনানীর বাসিন্দা মৃত অশোক দাস গুপ্তের কন্যা ব্যবসায়ী অনন্যা দাস গুপ্ত আবেদনটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এ বিভাগের আরো খবর