১২ বছর বয়স হলেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা মিলবে। টিকা পেতে কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করলেই হবে, আলাদা নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘১২ বছর বয়সীদের টিকা পেতে কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করলেই হবে। তাদের আলাদা নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।’
দেশে লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১৭ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে। ৮৫ শতাংশ টিকার আওতায় চলে এসেছে।’
এখনও ১০ কোটি টিকা মজুত আছে জানিয়ে টিকা গ্রহণে অনেকের অনীহার বিষয়টিও উঠে আসে তার বক্তব্যে। সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের ৮৫ শতাংশ টিকা নেননি। এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অনেকেই টিকা নেননি।’
বাংলাদেশে করোনার গণটিকার প্রয়োগ শুরু হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। শুরুতে কেবল ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের ওপর ভরসা করলেও সেখান থেকে টিকা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তার কারণে অন্য উৎসের সন্ধান করে বাংলাদেশ। চীন থেকে কেনা হয় টিকা। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে তোলা জোট কোভ্যাক্স থেকে লাখ লাখ টিকা আসতে থাকে।
টিকা প্রয়োগে গতি আসার পর এক বছরে ১০ কোটি টিকা দেয়া হয়ে গেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু তুলনামূলক কম থাকার পেছনে টিকার ভূমিকাকেও বড় করে দেখা হচ্ছে।
তৃতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন সংক্রমণ এক পর্যায়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেলেও হাসপাতালে ভর্তির চাপ সেখাবে দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো আইসিইউ শয্যার জন্য হাহাকারও তৈরি হয়নি।
করোনা রোগীদের জন্য সারাদেশে যেসব শয্যা প্রস্তুত রাখা আছে, তার মধ্যে সিংহভাগ এখনও খালি বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গত কয়েক দিনে সংক্রমণও কিছুটা নিম্নগামী যাকে অর্থনীতি, রপ্তানির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি।
এই মাসের শেষে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।