দেশে লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১৭ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে। ৮৫ শতাংশ টিকার আওতায় চলে এসেছে।’
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন তথ্য জানান।
এখনও ১০ কোটি টিকা মজুত আছে জানিয়ে টিকা গ্রহণে অনেকের অনীহার বিষয়টিও উঠে আসে তার বক্তব্যে। সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের ৮৫ শতাংশ টিকা নেননি। এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অনেকেই টিকা নেননি।’
বাংলাদেশে করোনার গণটিকার প্রয়োগ শুরু হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। শুরুতে কেবল ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের ওপর ভরসা করলেও সেখান থেকে টিকা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তার কারণে অন্য উৎসের সন্ধান করে বাংলাদেশ। চীন থেকে কেনা হয় টিকা। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে তোলা জোট কোভ্যাক্স থেকে লাখ লাখ টিকা আসতে থাকে।
১২ বছর বয়স হলেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা মিলবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এর জন্য টিকা কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করলেই হবে, আলাদা নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।’
করোনা রোগীদের জন্য সারাদেশে যেসব শয্যা প্রস্তুত রাখা আছে, তার মধ্যে সিংহভাগ এখনও খালি বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘টিকা নেয়াতে করোনার সংক্রমণ কিছু নিন্মগামী। যে কারণে আমাদের দেশে অর্থনীতি অনেকটা ভালো, রপ্তানি বেড়েছে। দেশের জিডিপি ৭ শতাংশ হওয়ার কারণ করোনা সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ।’
এই মাসের শেষে স্কুল খুলে দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, পরিস্থিতি আরও উন্নতি হলে এই মাসের শেষের দিকে স্কুল খুলে দেয়া হবে।’