বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভালোবাসার দিনে বন্দরনগরীতে কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:২৫

চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় ফুলের বাজারটি চেরাগী পাহাড় মুমিন রোড এলাকায়। সেখানে দোকানে দোকানে হরেক রকম গোলাপসহ সাজিয়ে রাখা হয়েছে গ্লাডিওলাস, গাঁদা, জারবেরা, বেলী, চন্দ্রমল্লিকা, চেরী ও জিপসীসহ রঙ বেরঙের নানা দেশি-বিদেশি ফুল। ফুলের তোড়া তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। এর বাইরে কর্মচারীদের কেউ ফুলের পসরা সাজাচ্ছেন, কেউ কথা বলছেন ক্রেতার সঙ্গে।

বসন্তের প্রথম দিন আর চিরায়ত সুন্দরের প্রতীক ভালোবাসার বিশেষ দিবস উৎসবের রঙ ছড়িয়েছে আরও একবার। এই বসন্ত উদযাপন ও ভালোবসা দিবসের অপরিহার্য উপাদান ফুল। বিশেষ এ দিনটিকে ঘিরে বদলে যায় ফুলের বাজারও। চাহিদার সঙ্গে ফুলের দাম যেন জহির রায়হানের কবিতা মেনে ‘আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো’, হয়ে যায়।

বসন্তের আগমনী বার্তার সঙ্গে আমেজ বইছে চট্টগ্রামের ফুলের দোকানে দোকানে। করোনার কারণে গত দুই বছর পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রিতে মন্দা ছিল। তাই এবার দুই দিবসকে ঘিরে ফুল ব্যবসায়ীদের দিন ফিরেছে।

এবার দোকাগুলোতে তোলা হয়েছে অতিরিক্ত ফুল। ভোর থেকে ক্রেতার ভিড়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় বিক্রেতাদের হাঁকডাক। বেলা বেড়ে সরব হয় ফুলের বাজার।

চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় ফুলের বাজারটি চেরাগী পাহাড় মুমিন রোড এলাকায়।

সেখানে দোকানে দোকানে হরেক রকম গোলাপসহ সাজিয়ে রাখা হয়েছে গ্লাডিওলাস, গাঁদা, জারবেরা, বেলী, চন্দ্রমল্লিকা, চেরী ও জিপসীসহ রঙ বেরঙের নানা দেশি-বিদেশি ফুল।

ফুলের তোড়া তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। এর বাইরে কর্মচারীদের কেউ ফুলের পসরা সাজাচ্ছেন, কেউ কথা বলছেন ক্রেতার সঙ্গে।

এসব ফুলের মধ্যে দেশী লাল গোলাপ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকায়। অন্যান্য ফুলের মধ্যে বিভিন্ন রঙের চাইনিজ গোলাপ প্রতিটি ৪০-৬০ টাকা, রজনীগন্ধা প্রতি স্টিক ২০ টাকা, জারবেরা প্রতিটি ২০ টাকা ও গাঁদা ফুলে লহরপ্রতি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এর বাইরে মেয়েদের খোঁপার গাজরা আর মাথার ক্রাউন বিক্রি হচ্ছে প্রতিপিস ১০০-১৫০ টাকা করে।

তবে এবার ১৪ ফেব্রুয়ারিতে একই সঙ্গে দুটি দিবসে ফুলের চাহিদার সঙ্গে তুলনামূলক দামও বেড়েছে বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা।

গাঁদা ফুল অপেক্ষা এবার গোলাপের চাহিদা অপেক্ষাকৃত বেশি বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। রোববার সন্ধ্যা থেকে বেচা-বিক্রি বেড়েছে; যা আজ পুরো দিনজুড়েই চলবে। তাদের প্রত্যাশা, এবারে কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে।

মুমিন রোডের ফুল দোকানি রাশেদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুটি বসন্তে করোনার কারণে আমাদের বেচা-বিক্রি হয়নি। গত বছর তো ১৪ ই ফেব্রুয়ারিতে দোকাই বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে এবার আশা করি ফুল ভালো বিক্রি করতে পারব।’

মো. সাখাওয়াত হোসেন নামের আরেক দোকানি বলেন, ‘বছরের বড় বড় দিনগুলোতেই তো আমরা সাধারণত বেশি ফুল বিক্রি করতে পারি। গত দুই বছর বন্ধ থাকায় আমাদের যা ক্ষতি হয়েছে, এবার তো পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা থাকবে। তবে করোনার আগে যেমন ক্রেতা ছিল, এখন আর তেমন নেই। মানুষ এখনো বের হতে ভয় পাচ্ছে।’

এ দিকে করোনায় ফুল চাষিদের লোকসানের কারণে চাষ বন্ধ রাখায় চাহিদার তুলনায় ফুলের উৎপাদন কম বলে জানান ফুল দোকানি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন। তাই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ফুল।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার সময় ফুল বিক্রি হয়নি বললেই চলে। এ সময় চাষিদের চাষ করা ফুলগুলো গাছ থেকে নিয়ে ফেলে দিতে হয়েছে। তাই তাদের অনেকে ঋণে পড়ে ফুল চাষ বন্ধ করে দিয়েছেন।

‘ফলে চাহিদার চেয়ে ফুলের যোগান কমে গেছে। তাই সামান্য দামও বেড়ে গেছে ফুলের। আগে আমরা যে ফুল ৫ টাকায় কিনতাম এখন সেটা ৮-৯ টাকা। তাই বিক্রির সময়ও দাম একটু বেশি নিতে হচ্ছে।’

তবে ফুলের বাজার স্বাভাবিক আছে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম ফুল ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন ফুলের বাজার স্বাভাবিক আছে। বেচা-বিক্রিও ঠিকঠাক। আর চাহিদা বাড়লে দাম তো সামান্য বাড়েই।’

ফুল ব্যবসায়ীদের এই নেতা আরও বলেন, ‘করোনার আগে প্রতি প্রহেলা ফাল্গুনে আমাদের এক কোটি টাকার বেশি ফুল বিক্রি হয়। গত দুই বছর না হলেও এই বছর ১ কোটি টাকার বেশি ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করা যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর