বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দেশটি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে রোববার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
বৈঠকে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসকের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের প্রেক্ষাপট নিয়ে।
আব্দুল মোমেন গত পাঁচ দশকে অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্ব ও জনগণকে তাদের জাতিসত্তার ৫০তম বার্ষিকীতে অভিনন্দন জানান।
এ প্রসঙ্গে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বৈত সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কিছু বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনে সম্মত হন।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন এবং দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতার সব ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তারা গভীর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বর্ধিত বিমান ও সামুদ্রিক সংযোগ, বিশেষ করে দুই দেশের সমুদ্র বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিং সংযোগ স্থাপন এবং সাপ্লাই চেইন নির্বিঘ্ন রাখার জন্য সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালুর বিষয়ে পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, আইসিটি, আইওটি এবং ডিজিটাইজেশনের সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন রূপ অন্বেষণ করতে অংশীদারত্ব বাড়াতে সম্মত হন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়েও মতবিনিময় করেন।
ড. মোমেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের অব্যাহত সহযোগিতা ও সমর্থন চান।
মোমেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার সুবিধামতো বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান, যা আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গ্রহণ করেন।