করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিতে টিকার আওতায় এলেন ট্রান্সজেন্ডাররা।
ট্রান্সজেন্ডারদের দাবি, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের জটিলতায় এতোদিন টিকাবঞ্চিত ছিলেন তারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় ভাসমান জনগোষ্ঠীর টিকাদান কর্মসূচিতে ট্রান্সজেন্ডারদের এ টিকাদান করা হয়।
ট্রান্সজেন্ডার মৌমি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এতদিন ধরে নিবন্ধন জটিলতা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র জটিলতার কারণে টিকা নিতে পারেনি, আজ দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় লাইন ছাড়া টিকা নিতে পেরে অনেক খুশি।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি একাধিকবার টিকা কেন্দ্রে গিয়ে ফেরত এসেছি, আজ বিশেষ দিনে টিকা পেলাম, সরকারকে ধন্যবাদ।’
আরেক ট্রান্সজেন্ডার ইভান আহামেদ বলেন, ‘অত্যন্ত খুশি এবং আনন্দিত আমি। টিকা পেয়েছি, যদিও করোনাভাইরাস শুরু হয়েছে দুই বছর আগে, বয়স জটিলতা নিবন্ধন এবং ভোটার আইডি জটিলতায় এতদিন নিতে পারিনি। এবার জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হয়নি।’
টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করছেন ব্রাকের চিকিৎসক মিরানা জামান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাসমান জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আমরা আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ট্রান্সজেন্ডার যারা, সমাজের অবহেলিত তাদের টিকা আওতায় আনতে কাজ করছি।
‘এরইমধ্যে ৫০ জনকে টিকার আওতায় আনা গেছে। আমাদের আজকে ৩০০ জনকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডাররা অভিযোগ করেছেন, তাদের টিকা নেয়ার কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা ছিল না। আমরা এই জটিলতা নিরসন এবং ভাসমান জনগোষ্ঠীর সবাইকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’
সমাজসেবা অধিদপ্তর বাংলাদেশের হিসাব বলছে, দেশে ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা আড়াই লাখ।
২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি ট্রান্সজেন্ডারদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়।