সারের দাম বাড়ানোর কোনো উদ্দেশ্য সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সচিবালয়ে সোমবার দেশের সার পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত সারের মজুত আছে; কোনো সংকট হবে না। সারের দাম এখনও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। দাম বাড়ানোর কোনো উদ্দেশ্যও নেই, তবে সরকার উভয় সংকটে।
‘ভর্তুকি প্রায় ৪ গুণ বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। সারের ভর্তুকি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ বছর সারে যে পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে, তাতে আরেকটা পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।’
তিনি জানান, সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় এ বছর সারের জন্য ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি লাগবে। অবশ্য ভর্তুকির কারণে সারের দাম বাড়বে না বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
ওই দিন মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সারের ভর্তুকিতে ২৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেয়া হয়েছে এবং আগামী জুন পর্যন্ত আরও ৯ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
‘আন্তর্জাতিক বাজারে সারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ও পরিবহন ব্যয় বাড়ার ফলেই এ বিশাল অঙ্কের ভর্তুকি লাগবে। এমনিতে আমাদের প্রতি বছর ৮-৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিতে লাগে।’
তিনি বলেন, ‘এত বিশাল অঙ্কের ভর্তুকি কোথা থেকে আসবে, এ বিষয়ে সরকার দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে। এত ভর্তুকি দিলে অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে যাবে, কিন্তু কৃষকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কৃষকের কল্যাণে ও কৃষির উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এ মুহূর্তে সারের দাম বাড়াবেন না।
‘অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি শ্লথ হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারে ভর্তুকি দিয়ে যাবেন।’