বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিখোঁজের ২৫ দিন পর কবরস্থানে মিলল শিশুর মরদেহ

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:২৪

ওসি মহসীন বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়া হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে একজন হত্যার কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কবরস্থানে গিয়ে মাটিচাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মুখ বাঁধা ও দেহ অর্ধগলিত ছিল।’

চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ২৫ দিন পর কবরস্থান থেকে এক শিশুর অর্ধগলিত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পৌর এলাকার তালতলা ঈদগাহ মাঠের পাশের বড় কবরস্থান থেকে রোববার রাত আড়াইটার দিকে আবু হুরায়রার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

১০ বছর বয়সী হুরায়রার বাড়ি তালতলা গ্রামে। সে চুয়াডাঙ্গা ভি. জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হুরায়রার বাবা আব্দুল বারেক নিউজবাংলাকে জানান, তার ছয় মেয়ে ও এক ছেলে। হুরায়রা সবার ছোট। গত ১৯ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সে বাড়ির পাশের এক শিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার জন্য বের হয়। সেখানে ব্যাগ রেখে বেরিয়ে যায়।

সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি মাইকিংও করা হয়।

বারেক বলেন, ‘আমরা ধারণা করেছিলাম, হুরায়রা বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও পায় না। ২৫ জানুয়ারি রাতে শিক্ষক রঞ্জু হকসহ পাঁচজনের নামে সদর থানায় মামলা করি। পরে পুলিশ রনজু হক ও মনজু হককে গ্রেপ্তার করে।’

ওসি মহসীন বলেন, ‘দুজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়া হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে একজন হত্যার কথা স্বীকার করে।

‘তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কবরস্থানে গিয়ে মাটিচাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মুখ বাঁধা ও দেহ অর্ধগলিত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণ করে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।’

হুরায়রার চাচা আতিয়ার রহমান জানান, নিখোঁজের পর গুজব উঠেছিল হুরায়রাকে জিন তুলে নিয়ে গেছে। জিনের মাধ্যমেই তাকে ফেরত পাওয়া যাবে। এ কথা শুনে তারা বাবা-মা সিরাজগঞ্জের এক কবিরাজের কাছে যান। ওই কবিরাজ ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা চান।

আতিয়ার বলেন, ‘তাকে ৩০ হাজার টাকা অগ্রিমও দেয়া হয়েছিল। ২০ হাজার টাকা ফেরত পাওয়ার পর বাকি টাকা দেয়ার কথা ছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে আমাদের গ্রামের বৃদ্ধ হায়াত আলী নিখোঁজ হয়েছিলেন। তখন নাকি তাকে ওই কবিরাজের মাধ্যমেই জিনরা রেখে গিয়েছিল।’

ওসি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

হুরায়রার বাবা বলেন, ‘অনেক সাধনায় একটি ছেলে পেয়েছিলাম। তাকে এভাবে হত্যা করা হলো। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর