দেয়ালে দেয়ালে ফাটল, খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। কিছু বিমেও ফাটল দৃশ্যমান।
এমন বেহাল ভবনটি বরিশালের নগর ভবন। নগর কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি জেনেই এই ভবনে চালিয়ে যাচ্ছে অফিস। বেহাল ভবন সংস্কারের কথা জানালেও কবে নাগাদ তা হবে, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেনি সিটি করপোরেশন।
রোববার গিয়ে ভবনটির পেছনের দিকে কয়েকটি স্থানে বড় ফাটল দেখা গেছে।
সিটি করপোরেশনের দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এমন ফাটল আছে বেশ কয়েক দেয়ালেই। অনেক পিলারের রড বের হয়ে গেছে। কিছু ফ্লোরের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে বিভিন্ন সময়। এখন ফাটলগুলো অনেক বেশি দৃশ্যমান হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কেই থাকেন।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এ ভবনটি পৌরসভা আমলের। সাবেক সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণ মূল অবকাঠামো ঠিক রেখে কিছু সংস্কার করেছিলেন। তবে তা বেশি দিন টেকেনি।
কর্মকর্তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ, বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নগর ভবনে অফিস করেন না বলে সংস্কারের দিকে নজর দিচ্ছেন না।
মেয়র সাদিক সিটি করপোরেশনের অ্যানেক্স ভবনে বসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে নগর ভবন সংস্কারের কাজ ধরা হবে। তবে তা এখনও করা হচ্ছে না। জানতে পেরেছি নগর ভবনে যেসব শাখা রয়েছে সেগুলোর কিছু শাখা অমৃত লাল দে সড়কে সিটি করপোরেশনের একটি ভবনে সাময়িক সময়ের জন্য নেয়া হবে।
‘তবে কবে নাগাদ তা করা হবে সেটা জানি না। এ ছাড়া মেয়র বিষয়টির উদ্যোগ নিলে সংস্কার তাড়াতাড়ি সম্ভব হতো।’
তিনি আরও জানান, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী নগর ভবন নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় স্থানান্তরিত হবে। এ কারণে বর্তমান ভবনের সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুখ হোসেন বলেন, ‘নগর ভবনে থাকা বিদ্যুৎ শাখাসহ কিছু শাখায় সমস্যা রয়েছে। অনেক জায়গায় ফাটল বা পলেস্তারা খসে পড়েছে। আমরা শিগগিরই এগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।’