কক্সবাজারের চকরিয়ার পাঁচ ভাইকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ট্রাকচালক সাহিদুল ইসলামকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
চকরিয়া থানা পুলিশ রোববার বেলা দেড়টার দিকে সাইফুলকে চকরিয়ার বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়। পরে হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন সাইফুলের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
এসআই আবুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব সাইফুলকে তিন দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।’
শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে ট্রাকচালক সাহিদুল ইসলামকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করে র্যাব।
গত ৩০ জানুয়ারি মৃত্যু হয় অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুরেশ চন্দ্র সুশীলের। তার শ্রাদ্ধের জন্য সাত ছেলে ও দুই মেয়ে এসেছিলেন বাড়ি। মঙ্গলবার ভোরে শ্রাদ্ধের আগে ৯ ভাই-বোন যাচ্ছিলেন চকরিয়ার ফকিরশাহ হাসিনাপাড়ার তিন রাস্তার মন্দিরে।
মালুমঘাটের ফকিরশাহ এলাকায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার হওয়ার সময় পিকআপ ভ্যানের চাপায় পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যু হয়। আহত দুই ভাই-বোন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই দুর্ঘটনায় অক্ষত আছেন ১৯ বছর বয়সী প্লাবন সুশীল।
পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলছে পরিবার
সেদিনের দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান মুন্নী সুশীল। তিনি বলেন, ‘আমরা সাত ভাই ও দুই বোন পিচঢালা রাস্তা থেকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বেপরোয়া পিকআপ ভ্যানটি দ্রুত এসে আমাদের চাপা দেয়। তখন আমি ও প্লাবন ছিটকে পড়ি। দেখি পিকআপটি পেছনে এসে আবার চাপা দেয়। পরিকল্পিত না হলে এটি পেছনে এসে আবার কেন চাপা দিল?’