বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এলএনজি নির্ভরতা কমাতে হবে: সিপিডি

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০১:৫০

এলএনজি আমদানির কারণে প্রতি ঘনমিটারে ২৭ টাকা বাড়তি খরচের বোঝা যোগ হয়েছে। গত অর্থ-বছরে প্রতি ইউনিট (ঘনমিটার) এলএনজি আমদানিতে খরচ হয়েছে ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা। অথচ বিদ্যুৎ খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাস বিক্রি হয়েছে চার টাকা ৪৫ পয়সায়।

আমদানি করা প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক নয় দাবি করে এর ওপর নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি।

সংস্থাটি বলছে, উচ্চ দামে আমদানির কারণে ভর্তুকি বাড়ছে। এজন্য দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহে জোর দিতে হবে।

রোববার সিপিডির উদ্যোগে ‘জ্বালানি সরবরাহে গ্যাস-এলএনজি বিতর্ক: বিদ্যুৎ খাতে এলএনজি আমদানির ব্যয়জনিত প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে এ মন্তব্য করেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও সিনিয়র গবেষণা সহযোগী আবদুল্লাহ ফাহাদ যৌথভাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এতে বলা হয়, এলএনজি আমদানির কারণে প্রতি ঘনমিটারে ২৭ টাকা বাড়তি খরচের বোঝা যোগ হয়েছে। গত অর্থ-বছরে প্রতি ইউনিট (ঘনমিটার) এলএনজি আমদানিতে খরচ হয়েছে ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা। অথচ বিদ্যুৎ খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাস বিক্রি হয়েছে চার টাকা ৪৫ পয়সায়।

চলতি অর্থবছরে এলএনজি আমদানিতে খরচ বাড়বে ৭২ শতাংশ। গড়ে প্রতি ইউনিট এলএনজি কিনতে হবে ৩৪ টাকা ৩৭ পয়সায়। এটি সরবরাহ পর্যন্ত পেট্রোবাংলার ইউনিটে খরচ পড়বে ৫০ টাকা ৩৯ পয়সা।

তবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, ‘এই মুহূর্তে এলএনজি আমদানি বন্ধ করা যাবে না। ব্যবস্থাপনা ও সাশ্রয়ী ব্যবহারের মধ্য দিয়ে চলমান সংকট উত্তরণ করতে হবে। এনএলজি আমদানি কমাতে ধাপে ধাপে পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি মাসে মূল্য সমন্বয় না করে প্রান্তিক বা অর্ধ বার্ষিকীতে করার যে প্রস্তাব এসছে সেটা বিবেচনা করা যেতে পারে।’গ্যাসের দাম শতভাগ বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাব দিতেই পারে। কিন্তু আইন ও বিধি মেনে সব কিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। দাম অবশ্যই সহনশীল হবে।’

তিনি বলেন, ‘এনএলজি আমিদানিতে ভ্যাট, ট্যাক্স কমানো প্রয়োজন, সিস্টেম লসকে আমলে নিতে হবে। আমাদের নিজেদের সিস্টেম লস, নিজস্ব ব্যবহার তদারকি করতে হবে।’

বিইআরসির সদস্য মকবুল-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি কোম্পানির আগ্রহ কমার কথা বলা হচ্ছে। অথচ তেল-গ্যাস সম্পর্কিত সব তথ্য তাদের দেয়া হচ্ছে না।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি করে হলেও ক্যাপটিভে গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। নিজেদের জ্বালানি না থাকলে অন্যদের ওপর নির্ভর করতেই হবে এবং বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতিও মোকাবেলা করতে হবে।’

ভূতত্ত্ববিদ বদরুল ইমাম বলেন, ‘গ্যাসের সরবরাহ কমার এ সংকট অবহেলাজনিত।’

বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান করিম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক রাজীব হায়দারও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর