রংপুরের মিঠাপুকুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জামানত হারাচ্ছেন ৭১ চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের তিন এবং জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী।
৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে মিঠাপুকুরে ১৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ১২৯ জন।
নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, মোট ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
নির্বাচন অফিস জানায়, জামানত হারানোর তালিকায় বালুয়া মাসিমপুর ইউপিতে ৯ জন, দুর্গাপুরে ৭ জন, বড় হযরতপুর ও ভাংনীতে ৬ জন করে, খোড়াগাছ, চেংমারী ও মির্জাপুরে ৫ জন করে, ময়েনপুরে ৪ জন, রানীপুকুর, পায়রাবন্দ, লতিবপুর, মিলনপুর, গোপালপুর ও ইমাদপুরে ৩ জন করে এবং বড়বালা ইউনিয়নে ২ জন রয়েছেন।
নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন খোড়াগাছের মাহবুবুল হক বাবলু, চেংমারীর মাহমুদুন্নবী ও বালুয়া মাসিমপুরের সাইফুল ইসলাম লোটাস।
জাতীয় পার্টির জামানত হারানো দুজন হলেন দুর্গাপুরের সোহরাওয়ার্দী মিয়া ও মির্জাপুরের গোলাম আজম মিলন।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১৭ প্রার্থীর সবাই জামানত হারানোর তালিকায় আছেন।
জাকের পার্টির ২, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) ১ ও স্বতন্ত্র ৪৬ প্রার্থী এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নির্বাচনে সাতটি ভোট পেয়েছেন খোড়াগাছের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক।
মিঠাপুকুরে ভোটার ৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৪১ জন। ভোট দিয়েছেন ৩ লাখ ২৬ হাজার ৮ জন। এর মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ৭ হাজার ৪০১ ভোট।
মিঠাপুকুর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শোয়েব সিদ্দিকী বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে জামানত দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই ইউনিয়নের মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ পেতে হয়। যারা ওই পরিমাণ ভোট পাননি তাদের তালিকা করা হয়েছে। তারা জামানত ফেরত পাবেন না।