বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসিতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষ চান শাহরিয়ার-জাফর

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০১:১৮

‘যারা নির্বাচিত হবেন (নির্বাচন কমিশনে) তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হবেন। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করতে হবে, সংবিধানে বিশ্বাস করতে হবে। তার কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা যাবে না।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল মনে করেন, বাংলাদেশের মতো দ্বিধাবিভক্ত সমাজে নিরপেক্ষ ও সর্বজনমান্য ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন। তারা নির্বাচন কমিশনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে দেখতে চান।

নতুন নির্বাচন কমিশন করতে নাম প্রস্তাব করতে যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার সঙ্গে বৈঠক শেষে রোববার এ কথা বলেন তারা।

সার্চ কমিটিতে যাদের নাম জমা পড়েছে, তাদের থেকে যাচাই বাছাই করে সুপারিশ করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া না করার পরামর্শ দিয়েছেন শাহরিয়ার কবীর। বলেন, ‘যেসব নাম আসছে তাদের সবার সম্পর্কে খোজখবর নিতে হবে। তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অযোগ্য লোক আসা কাম্য নয়।’

এ জন্য সার্চ কমিটিকে রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, ‘সবচেয়ে যোগ্য, সাহসী ব্যক্তিকে দেখতে চাই।

নিজের চাওয়া উল্লেখ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে সোচ্চার এই ব্যক্তিত্ব বলেন, ‘যারা নির্বাচিত হবেন (নির্বাচন কমিশনে) তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হবেন। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করতে হবে, সংবিধানে বিশ্বাস করতে হবে। তার কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা যাবে না।

‘আমাদের সমাজ দ্বিধা-বিভক্ত, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি রাজনীতি করে, এই সমাজে আপনারা নিরপেক্ষ ও সর্বজন মান্য ব্যক্তি খুজতে যাবেন না।'

তার চাওয়া কী-সেটি তুলে ধরে শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘সেই ব্যক্তিকেই নির্বাচন কমিশনে দেখতে চাই যার মেরুদণ্ড আছে, সাহস আছে; প্রধানমন্ত্রী যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন, তাকেও জবাদিহিতার আওতায় আনার সাহস থাকতে হবে।’

নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে ১০ টি নাম দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালও একই ধরনের প্রতিক্রিয়ার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এই দেশে যারাই রাজনীতি করবে তাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে হবে। যতদিন পর্যন্ত তা না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা বুঝব, আমাদের রাজনীতি সঠিকভাবে হচ্ছে না। যিনি নির্বাচন কমিশনার হবেন, তার অন্য সব গুণাবলী থাকতে হবে, পাশাপাশি অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের একজন মানুষ হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটিকে বলেছি আপনারা ভয় পাবেন না। আপনারা বিবেকের কাছে পরিষ্কার থেকে একদম খাঁটি একটা লোক নিয়োগ দেন। কে কী বলছে, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।’

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘সৎ, দুর্নীতিমুক্ত ও সাহসী এবং নির্ভীক মানুষ চাই আমরা। এমন একটি নির্বাচন কমিশন চাই যেটি প্রভাবমুক্ত অবস্থায় নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে।’

সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখওয়াত হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ইলেকশন প্রসেস এবং ইলেকশন কমিশন ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই সমস্ত লোক দরকার যারা এটাকে টেনে তুলতে পারবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে এবং একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারবে, এ রকম সাহসী লোক দরকার।’

নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কোন দল কার নাম প্রস্তাব করেছে সেগুলো প্রকাশ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, স্বচ্ছতার সঙ্গে সুনাম অধিকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে হবে। জাতি এখন ভয়াবহ সংকটের মধ্যে আছে। সেই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা তাদের কাছে জানতে চাই, কী ধরনের প্রক্রিয়া এবং কোন ধরনের মানদণ্ড ব্যবহার করা হচ্ছে এই নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করার পেছনে।’

এ বিভাগের আরো খবর