যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে স্বচ্ছ নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন দেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ডিআরইউ মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে স্বচ্ছ, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পক্ষে। যা ১৯৭২ সালের সংবিধানে বলা হয়েছে। আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ দেখতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমরা চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেব। সেগুলো হলো- সব দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ, সবাই যেন ভয়-ভীতি ছাড়া ভোট দিতে পারে, ভোট যেন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয় এবং সব দল যেন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়।’
বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন কেন যুক্তরাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে সুশাসন অনেক জরুরি বিষয়। যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্ভয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। অন্যদিকে নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়. তাহলে এ বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
‘এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। তখন যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলো এদেশে বিনিয়োগ করতে চিন্তা করবে।’
বাংলাদেশে গুম-খুন নিয়ে যুক্তরাজ্য চিন্তিত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত কথা বলছি।’
যুক্তরাজ্যের গুম-খুন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘আমাদের সমাজও সম্পূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত নয়। আমাদের জনগণের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মানুষ রয়েছে। তবে আমাদের দেশে বিচার বহিভূত হত্যাকাণ্ড খুবই কম ঘটে। হত্যা-গুমের সংখ্যাও কম।’
রোহিঙ্গা সমস্যা ইস্যুতে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি ভালো হলে তারা রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে। বাংলাদেশ এখনও তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করছে।’
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্তভাবে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর এই সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।’