রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিদায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বঙ্গভবনে রোববার সন্ধ্যায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বর্তমান ইসির মেয়ার শেষ হচ্ছে সোমবার। এর আগের দিন রাষ্ট্রীয় আচার অনুযায়ী নিয়োগকর্তা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছে ইসি প্রতিনিধি দল।
কমিশনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশন মুখ্য ভূমিকা পালন করে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল ও জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য। তাই নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগ, রাজনৈতিক দল ও জনসাধারণের সহযোগিতা নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশন স্থানীয় পর্যায়সহ সব নির্বাচন আরও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে।’
সাক্ষাতে নির্বাচনী কার্যক্রমসহ গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে বিদায়ী কমিশন। দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনার জন্য তারা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ ও জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১-এর বাংলা পাঠ রাষ্ট্রপতিকে হস্তান্তর করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
এ সময় রাষ্ট্রপতির হাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবলিত জাতীয় পরিচয়পত্রও তুলে দেন বিদায়ী কমিশনের সদস্যরা।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।