উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়নে খসড়া রূপরেখা তৈরি করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। আগামী ২০২৩ সাল থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইউজিসি।
এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে রূপরেখাটি শতভাগ বাস্তবায়নে জরুরি, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এর আগে অনলাইন ও অনসাইট এডুকেশন পদ্ধতি একত্রিত করে ইউজিসি ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর সঙ্গে সমন্বয় করে এই নীতিমালা তৈরি করা হয়।
রোববার ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত ‘পলিসি অন ব্লেন্ডেড লার্নিং ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমন্বয় সভায় খসড়া রূপরেখাটি তুলে ধরা হয়।
সভায় ব্লেন্ডেড এডুকেশনের খসড়া রূপরেখা কমিটির সদস্যরা অভিমত দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে পাঠদানের বিকল্প নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পাঠদান অনলাইনে সম্পন্ন করা যেতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
‘ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। নীতিমালায় স্নাতকদের নেতৃত্বের বিকাশ, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা ও তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেয়া হবে।’
সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মোস্তফা আজাদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রফেসর ড. কাজী মোহাইমিন আস-সাকিবসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।