বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কাউকে পাওয়া যাবে না: মুনতাসীর মামুন

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:১২

‘সবাই বলছেন, বিশ্বাসযোগ্য, আস্থাভাজন ইত্যাদি। বাংলাদেশে কখনও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি পাওয়া যাবে না।… কেউ নিরপেক্ষ নন। মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাস করে না, এমন লোক কেউ চাইবে না। বঙ্গবন্ধুও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন না। তাঁর মতো ব্যক্তি গ্রহণযোগ্য না হন, এখানে আমরা এসব কথা বলি এটা কল্পনার রাজ্য হয়ে যাবে।’

নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি বাংলাদেশে পাওয়া অসম্ভব বলেই মনে করে ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন। এর বদলে তিনি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কমিশন চাইছেন, যেখানে নাগরিক সমাজের সদস্যরা থাকবেন। নিয়োগ পাবেন নারী ও সংখ্যালঘুরাও।

রোববার সার্চ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সোমবার। নতুন যে কমিশন আসছে, তাদেরই আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার কথা।

নতুন কমিশন গঠনের জন্য এবার আইন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে সার্চ কমিটি। সেই কমিটি শনিবার দুই দফা বৈঠক করেছে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে। এই ধারাবাহিকতায় রোববারও হয় বৈঠক।

শনিবারের প্রসঙ্গ টেনে মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘সবাই বলছেন, বিশ্বাসযোগ্য, আস্থাভাজন ইত্যাদি। বাংলাদেশে কখনও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি পাওয়া যাবে না।… কেউ নিরপেক্ষ নন। মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাস করে না, এমন লোক কেউ চাইবে না।’

বঙ্গবন্ধুও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁর মতো ব্যক্তি গ্রহণযোগ্য না হন, এখানে আমরা এসব কথা বলি এটা কল্পনার রাজ্য হয়ে যাবে।’

তাহলে বিকল্প কী হবে- সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি বলব আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসি চেয়েছি। যেখানে প্রচলিত ধারা আমলাতন্ত্র, বিচারবিভাগের বাহিরে গিয়ে সুশীল সমাজের জোর দিতে হবে। নারী এবং সংখ্যালঘুর উপর জোর দিতে হবে।’

নতুন যে নির্বাচন কমিশন গঠন হতে যাচ্ছে, তাতে কে আসছেন না আসছেন, সেই বিষয়টির ইঙ্গিত পাওয়ার আগেই তা বিএনপির কাছে যে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না, সেই বিষয়ে ধারণা করা যাচ্ছে। কারণ, তারা কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জন করেছে। সার্চ কমিটিকে নামও দেয়নি তারা।

বরং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফিরে গিয়ে বিএনপি বলছে, সেই সরকার গঠন হওয়ার পর তারাই নির্বাচন কমিশন গঠন করবে।

মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠুভোট করা সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনে অনেক অংশীজন রয়েছেন, সেটা রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, স্থানীয় ভোটার আর নির্বাচন কমিশন সেটা পরিচালনা করতে পারে। সবকিছু ইসির একার উপরে চাপিয়ে দিলে হবে না।’

সার্চ কমিটির ক্ষমতা সীমিত বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘সরকার যে আইন করেছে সেই অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন। যিনি সৎ এবং সাহস করে কাজ করতে পারেন এমন লোকের নাম প্রস্তাব করার জন্য বলেছি।

‘আমরা কোন নাম প্রস্তাব করি নাই, রূপরেখা দিয়েছি।’

সার্চ কমিটিতে যে তিন শতাধিক নাম জমা পড়েছে তাদের সবার নাম প্রকাশ করা হলেও কার নাম কারা প্রস্তাব করেছে, সেটি প্রকাশ করা উচিত হবে না বলেও মনে করেন এই ইতিহাসবিদ।

মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘মজুমদার সাহেব (বদিউল আলম মজুমদার) সাহেব বলেছিলেন রাজনৈতিক দলগুলো কার কার নাম প্রস্তাব করেছেন, সেটা আলাদাভাবে উল্লেখ করতে। কিন্তু আমরা সেটার বিরোধিতা করেছি। বলেছি, সবার নাম যাক, তবে কে কোন নাম প্রস্তাব করেছে, সেটা বলা বাঞ্ছনীয় নয়। তাহলে একটা মার্কা হয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর