অনধিক পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনে ১০ জনের নাম প্রস্তাবের চেষ্টা করছে সার্চ কমিটি। এই নাম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যদের মধ্যে যেন কোনো দ্বিমত না থাকে সে চেষ্টাও হচ্ছে।
বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দুটি বৈঠকের পর দিন রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদেরকে এ কথা জানান। সচিবালয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ২০ কোটি টাকার অনুদান তুলে দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘সার্চ কমিটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অতীতে যেহেতু আইন ছিল না, সার্চ কমিটি এখন যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আগে সেভাবে কাজ করতে পারেনি। এখন যেটা করছেন আইনের কারণেই করছেন।
‘আইনের কারণেই তারা সকলের সাথে বসে ঐক্যমতের মাধ্যমে একটি নির্বাচন কমিশন, ১০ জনের নাম প্রস্তাব করার চেষ্টা করছেন।’
সোমবার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা গেল না।
তবে এই কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের পর সংবিধানে উল্লেখ থাকা নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই আইনের আওতায় গঠন হয়েছে সার্চ কমিটি।
আগের দুটি সার্চ কমিটিকে বিএনপি নাম দিলেও এবার অবশ্য তারা রাষ্ট্রপতির সংলাপ এবং সার্চ কমিটির নাম চাওয়াকে গুরুত্ব দেয়নি।
তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনে তিন শতাধিক নাম জমা দিয়েছে।
শনিবার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সার্চ কমিটির দুই দফা বৈঠকের পর রোববার আবার বৈঠক হতে যাচ্ছে।
বিশিষ্টজনরা এরই মধ্যে নানা প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে আছে, সরকারের সুবিধাভোগীদেরকে কমিটিতে না নেয়া, যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো প্রকাশ করা ইত্যাদি।
তবে বিএনপির অবস্থানের কারণে নতুন কমিশন সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে।
গত সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অংশ নিলেও দলটি এবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফিরে গেছে। তাদের দাবি, সেই সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তারপর যেন নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
বিএনপির এই অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ কেয়ারটেকার পদ্ধতিতে অবৈধ ঘোষণা করেছে এবং সেখানে বলা ছিল, যা হয়ে গেছে অবৈধ হয়ে গেলেও এ পদ্ধতিতে আরও একবার বা দুই বার নির্বাচন করতে পারে যদি সংসদ তাতে রাজি হয়।
‘কিন্তু যখন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী যখন পাস হয় তখন সংসদ সে সাজেশন গ্রহণ করে নাই। সেক্ষেত্রে কেয়ারটেকারের কোনো বৈধতা আর নাই। এ রায়ের আলোকে কেয়ারটেকারে ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নাই।’