কৃষিবিদ দিবসে র্যালি করা নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে রোববার দুপুর একটার দিকে সাবেক শিক্ষার্থী (কৃষিবিদ) ও কর্মকর্তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া শেষে র্যালি করা নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন সাবেক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা। কারা কোথায় থেকে কখন র্যালি করবে এটি আগে থেকে নির্ধারণ না করায় মতপার্থক্যের একপর্যায়ে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। পরে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
হাতাহাতির ঘটনায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মূলত দুই পক্ষের ভুলবোঝাবুঝির কারণেই এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। কে আগে, কে পরে ফুল দিবে তা নিয়ে বাকবিতন্ডায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কিছুটা নষ্ট হয়েছিল। তবে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অংশটি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু চত্বর নামে পরিচিত।
২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) এক সাধারণ সভায় ১৩ ফেব্রুয়ারিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছরই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।