বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন দিবসে এক কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশায় চাষিরা

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:৩৭

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হজরত আলী বলেন, ‘ফুলচাষ লাভজনক হওয়ায় ফরিদপুরে দিন দিন বাড়ছে। আমরা চাষিদের পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছি।’

এবার ১৪ ফেব্রুয়ারিতে একসঙ্গে উদযাপন হবে বসন্ত উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এর কয়েকদিন পর মহান একুশে ফেব্রুয়ারি।

এ তিন দিবসকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের ফুলচাষিরা। তাদের আশা, এবার কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে।

করোনা ও ঘূর্ণিঝড়ে গত দুই বছর লোকসান গুনেছেন ফুল চাষিরা। এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন তারা।

ফরিদপুরে ফুলচাষ একেবারেই নতুন। এক সময় ফরিদপুরের মানুষ যশোরের ফুলের অপেক্ষায় থাকতেন। এখন জেলার তরুণ উদ্যোক্তাদের ফুল স্থানীয়দের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে।

ফরিদপুরের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা বাগানে শোভা পাচ্ছে বাহারি রঙের নানান ফুল। বিভিন্ন জাতের ও রঙের গোলাপ, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জিপসি, রজনীগন্ধাসহ নানা জাতের ফুলে ছেয়ে আছে বাগানগুলো।

ফরিদপুর সদরের গধাধর ডাঙ্গী গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা লিয়াকত হোসেন ফুল চাষ করে এখন সফল। আলীয়াবাদ ইউনিয়নের খুশির বাজার এলাকায় ২০১৮ সালের শেষের দিকে ৫২ শতাংশ জমিতে বড় ভাই আনোয়ার হোসেনের সহযোগিতায় জারবেরা ফুলের চাষ শুরু করেন লিয়াকত। ব্যবসা ভালো হওয়ায় আরও ৭৫ শতাংশ জমিতে ফুল চাষ করছেন তিনি।

লিয়াকত বলেন, ‘মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফুল বাগানেই নষ্ট হয়েছে। আয় ছিল না, কিন্তু ফুলগাছ পরিচর্যায় সার ওষুধ দিতে হয়েছে। এখন চাহিদা বাড়ছে।

‘এভাবে এবার ফুল বিক্রি করতে পারলে করোনার ক্ষতি মোটামুটি কাটিয়ে উঠতে পারব। আশা করছি এবার ৫০-৬০ লাখ টাকা লাভ হবে।’

ফরিদপুর শহরের নিউ মার্কেট এলাকার ফুল ব্যবসায়ী সুজন মোল্লা বলেন, ‘এবার ফুলের দাম ভালো। বিধিনিষেধ না থাকলে চাষি ও বিক্রেতারা সবাই লাভবান হব।’

শহরের গঙ্গাবর্দী এলাকার জারবেরা ফুল চাষি জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘করোনার ক্ষতি পোষাতে না পেরে ফুল চাষ বন্ধ করেছিলাম। এবার বাজার ভাল দেখে ৪৫ শতাংশ জমিতে জারবেরা ও গ্লাডিওলাস ফুল চাষ করেছি। ধার করে প্রায় দেড় লাখ টাকা দিয়ে চাষ করেছি। ’

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হজরত আলী বলেন, ‘ফুলচাষ লাভজনক হওয়ায় ফরিদপুরে দিন দিন চাষ বাড়ছে। যদিও করোনার কারণে ফুলের বাজার সংকুচিত হয়ে পড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুলচাষিরা। ফুলচাষে সরকারি কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থাও নেই। তবে আমাদের পক্ষ থেকে চাষিদের নানা পরামর্শ দেয়া হয়।’

ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় কোটি টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর