বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৮ দিন পর অফিস করলেন শাবি ভিসি

  •    
  • ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:২২

শাবি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, ‘উপাচার্য স্যার রোববার সকালে অফিসে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দাপ্তরিক বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারেও কথা বলেছেন। এ ছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।’

২৮ দিন পর অফিস করলেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহারের এক দিন পর রোববার সকালে নিজ কার্যালয়ে এসে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেন। গত ১৬ জানুয়ারি সবশেষ অফিস করেছিলেন তিনি।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে টানা ২৭ দিন ধরে চলা উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

শাবি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, ‘উপাচার্য স্যার রোববার সকালে অফিসে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দাপ্তরিক বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারেও কথা বলেছেন। এ ছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।’

১৬ জানুয়ারি থেকে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন বিকেলে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর আইসিটি ভবনে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুন্নেসা হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

পরে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ভিসিকে অবমুক্ত করে বাসায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন তিনি। ওই রাত থেকে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

১৭ জানুয়ারি থেকে ভিসির বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ১৯ জানুয়ারি থেকে সেখানে অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। এরপর ভিসির বাসার সামনের ফটকে ব্যারিকেড দিয়ে ভেতরে কারও প্রবেশ বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।

এক দিনের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন তারা। ভিসির কার্যালয়েও তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

২৬ জানুয়ারি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙেন। ওই দিনই ভিসির বাসার সামনের ব্যারিকেড তুলে নেন তারা। তবে এরপরও বাসায় ছিলেন ফরিদ আহমেদ।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ক্যাম্পাসে এলে ২৬ দিন পর বাসা থেকে বের হয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ভিসি।

ওই বৈঠকে অধ্যাপক ফরিদকে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। এতে ভিসির বিষয়ে তাদের আপত্তির বিষয়টি আচার্যকে অবহিত করার আশ্বাস দেন দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রীর এই আশ্বাসের পর শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে দুপুরে ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন অধ্যাপক ফরিদ।

শনিবার আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়া সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভিসি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রমে অংশ নিলে তাদের অবস্থান কী হবে।

এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘গত ২৭ দিন শিক্ষার্থীরা এই ভিসির বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, এরপর তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে অংশ নেয়া লজ্জার। আমরা চাই তিনি চলে যাক। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ব্যাহত হোক তাও আমরা চাই না। শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ুক তা আমরা চাই না।’

রাজ বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন ভিসির বিষয়ে আচার্যকে অবহিত করবেন। জাফর ইকবাল স্যারও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তাদের আশ্বাসে ভরসা রাখতে চাই। আমরা আশা করি, আচার্য দ্রুত এই ভিসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর