একাধিকবার নোট অব ডিসেন্ট বা ভিন্নমত পোষণ করে আলোচনায় আসা নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
এ দুই কমিশনারকে বারবার প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়াতে দেখা গেলেও বিদায়ের এক দিন আগে সহকর্মীকে নিয়ে কথা বলতে চাননি সিইসি।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিইসি এমন অবস্থান ব্যক্ত করেন।
রাজধানীর প্যান পাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে রোববার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অসুস্থতার কারণে এ অনুষ্ঠানে মাহবুব তালুকদার ছিলেন না।
মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসার পেছনে অনেক টাকা ব্যয় হয় বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন সিইসি নূরুল হুদা। এ নিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, ‘তার চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে কথা তুলে সিইসি নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছেন।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলব না।’
নিজেকে সফল মনে করেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হুদা বলেন, ‘সিইসি হিসেবে আমি সাফল্যের সঙ্গে সব নির্বাচন শেষ করেছি। মানুষ ভালো বলবে, মন্দ বলবে, সমালোচনা করবে। এটা স্বাভাবিক। এখন মানুষ বলে হয়তো ভবিষ্যতে বলবে না।’
সব নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল না জানিয়ে সিইসি বলন, ‘মারামারি হয়েছে, ব্যালট ছিনতাই হয়েছে, ধরা পড়েছে, কোথাও কোথাও নির্বাচন বন্ধ হয়েছে।
‘তাই সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তা বলা যাবে না, তবে নারী-পুরুষ লাইন ধরে ভোট দিচ্ছে, ইভিএমে ৭০ শতাংশ ভোট পড়ছে। এর চেয়ে সফল নির্বাচন কী হতে পারে?’