বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রী ইসিকে সহযোগিতা করে যাবেন: আইনমন্ত্রী

  •    
  • ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:০৫

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন। তার সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহযোগিতা করবেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, স্বাধীনতার পর দেশে অনেক সরকার এসেছে। কেউই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করার সাহস দেখায়নি।

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে রোববার বেলা ১১টায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসি। এতে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন। তার সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে, যার ফসল হচ্ছে আজকের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ভুল ভোটার তালিকা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), নির্বাচন কমিশনের আধুনিক অবকাঠামো, জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন আইন-২০২২ ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ শেখ হাসিনার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর ৫০ বছরে বাংলাদেশে অনেক সরকার এসেছে। কেউ এই আইন করার সাহস দেখায়নি, যা দেখিয়েছেন হাসিনা। তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন নির্বাচন কমিশনকে এভাবেই সহযোগিতা করবেন।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, যা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রচনা করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। তারা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, মর্যাদা দিয়েছেন। জাতিকে দিয়েছে বীরত্বের তকমা।

‘তাদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান তুলে ধরতে হবে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে হবে।’

আগামীকাল বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে নতুন কমিশন গঠন না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে কিংবা আইনে এ ধরনের শূন্যতার কথা নাই। কাল এই কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে একটু বিলম্ব হলেও আইনে শূন্যতা হিসাবে গণ্য হবে না।’

মেয়াদ শেষ হলে ইসি অফিশিয়ালি দায়িত্ব পালন করতে পারবে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘না, তারা সেটা পারবেন না। কারণ সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে, তারা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচ বছর শেষ হয়ে গেলে এমন কথা নাই যারা স্থলাভিষিক্ত হবেন, তারা না আসা পর্যন্ত কারা দায়িত্বে থাকবেন।

‘এই সময়ে তো ইলেকশন কমিশন বন্ধ হয়ে যাবে না। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দায়িত্ব পালন করবে। নতুন নির্বাচন কমিশন আসলেই কোনো নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে।’

এই কমিশন তার দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে পেরেছে বলেও মনে করেন আইনমন্ত্রী।

বিএনপি কোনো আলোচনায় অংশ নিল না। সেটিকে গণতান্ত্রিক মনে করেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘অবশ্যই গণতান্ত্রিক না। এটা নিয়ে তো প্রমাণের কিছু নাই যে গণতান্ত্রিক না।

‘গণতন্ত্রের কথাই হচ্ছে সংলাপ। সেখানে প্রত্যেকবারই কোনো পদক্ষেপকে যদি তারা ইতিবাচকভাবে না নিয়ে নেতিবাচকভাবে নেয়, তাহলে আমার মনে হয় জনগণ সেটিকে গণতান্ত্রিক বলে মনে করবে না।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণ করেন। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্টকার্ড দিয়ে সম্মান জানানোর ধৃষ্টতা তাদের নেই বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।

তিনি বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ আইন বাংলা করায় তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে।’

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আরপিও বাংলা পাঠ করেছি। এমন মাসে এটা করেছি যখন ফেব্রুয়ারি মাস, ভাষার মাস। এই কাজটা করতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। যারা ভোটার, তারা অনেক উপকৃত হবেন বাংলা পাঠ পড়তে পেরে।

‘সীমানা নির্ধারণ আইন খুব জটিল, তবে যারা রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাহবুব তালুকদার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।

ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে ইসির কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর