বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাটির ভাঙা ঘরে গরু-ছাগলের সঙ্গে বসবাস

  •    
  • ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:৫২

ফরিদ বলেন, ‘আমি একজন অন্ধ মানুষ হলেও আমার স্ত্রী-সন্তানরা কতটা কষ্টে থাকে তা বুঝতে পারি। এক খাটে সবাইকে ঘুমাতে হয়। শীতের তেমন কাপড়ও নেই। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি জমে। ঘরটাও অনেক পুরোনো। কখন ভেঙে পড়ে সবাই মারা যাই তার ঠিক নাই।’

একটি মাত্র মাটির ঘরে থাকে ১০টি প্রাণী। তাদের মধ্যে ছয়জন মানুষ, তিনটি ছাগল ও একটি গরু। একটু বৃষ্টিতেই ঘরে পানি জমে। সেই সঙ্গে আছে গরু-ছাগলের মলমূত্রের গন্ধ। নেই বিদ্যুতের সংযোগ।

এভাবেই পরিবার নিয়ে দিন পার করছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আকচা মুন্সিপাড়ার ফরিদ ইসলাম।

দুই বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারান ফরিদ। সবজি বিক্রি করে দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টাকা আয়ে তিনি সংসার চালান। তার চার সন্তানের মধ্যে তিনজনই স্কুলে যায়। সবচেয়ে ছোট সন্তানের বয়স ১ বছর।

ফরিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি একজন অন্ধ মানুষ হলেও আমার স্ত্রী-সন্তানরা কতটা কষ্টে থাকে তা বুঝতে পারি। এক খাটে সবাইকে ঘুমাতে হয়। শীতের তেমন কাপড়ও নেই। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি জমে। ঘরটাও অনেক পুরোনো। কখন ভেঙে পড়ে সবাই মারা যাই, তার ঠিক নাই।

‘আমি রাতভর রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করি। ঘুম আসে না। মাটিতে যে একটু ঘুমাব তাও সম্ভব না। মাটিতে গরু-ছাগলের মলমূত্র। আমার আর ঘর বানানোর সামর্থ্য নাই। যদি চোখে দেখতে পারতাম তাহলে জঙ্গলে একটা ঘর দিলেও পরিবার নিয়ে থাকতাম।’

সবজি বিক্রি করে সংসার চালান ফরিদ

স্থানীয় সামাজিক সংগঠন আকচা তরুণ শক্তির (আতশ) সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ ইসলাম বলেন, ‘এই গ্রামে ফরিদের মতো অসহায় মানুষ আর দ্বিতীয়টা নেই। আমরা সবাই একটু-আধটু সাহায্য করার চেষ্টা করি, কিন্তু গ্রামের সবাই তো শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। কতটুকুই আর সামর্থ্য!

‘ওর একটা ঘর খুব দরকার। আমি মনে করি, সরকারের নজর ওর ওপর পড়লে তারা একটা ঘরের ব্যবস্থা করবেন।’

ফরিদকে গুচ্ছগ্রামে ঘর দেয়ার ব্যবস্থা করতে চাওয়া হয়েছিল বলে জানান তার ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য কুলুরাম রায়। তবে সেখান থেকে বাজারে সবজি বিক্রির জন্য যাতায়াত সুবিধাজনক না হওয়ায় গুচ্ছগ্রামে ঘর দেয়া হয়নি।

আকচা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনকে ফরিদের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

শাহরিয়ার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর