দেশে আর্থিক খাতের বয়স বিবেচনায় স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড (এসএফআইএল) নবীন। তবে ‘স্বচ্ছতার বন্ধন’ স্লোগান সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তার পরিচালন দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও মিলেছে কাঙিক্ষত সাফল্য।
যাত্রা শুরুর দেড় বছরে প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি মজবুত করার পাশাপাশি গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে এসএফআইএল। চলতি বছরে আরও এগিয়ে যাবে আর্থিক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নতুনভাবে প্রকাশিতব্য ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকার অফিসসংলগ্ন উন্মুক্ত স্থানে এসএফআইএলের টাউন হল মিটিংয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে এমন আশার কথা শোনান এসএফআইএলের স্বতন্ত্র পরিচালক পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক কমিশনার ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আগামী পাঁচ বছরে এসএফআইএল সেরা পাঁচে পৌঁছুতে পারবে।’
প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পারপাস ছাড়া লাইফ মিনিংলেস। আপনার সময় নষ্ট করবেন না। পৃথিবীতে আপনি একবারই আসবেন। এই পৃথিবীতে আরেক বার আসা যাবে না। আপনি এমন একজনকে হোম লোন দিচ্ছেন, যিনি তার আয়ের ৬০ শতাংশ বাসা ভাড়া দিচ্ছেন, বাকি ৪০ শতাংশ দিয়ে জীবনধারণ করছেন। এটা খুবই পেইনফুল স্টোরি।
‘আপনি এই সেবাটা তার ছোট বাচ্চাকে দিচ্ছেন, যে নতুন বাসা পাচ্ছে। আমি শুধু একজনকে সেবা দিচ্ছি না, সেবা দিচ্ছি তাকে যিনি তার সন্তানের বিয়ের জন্য বা শেষ সময়ের জন্য সঞ্চয় করছেন। আপনি যদি এই টাকাটা মিসহ্যান্ডেল করেন করেন তাহলে কোনোভাবেই বলতে পারবেন না আপনি সাকসেসফুল।’
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এসএফআইএলের সাফল্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। কর্মকর্তাসহ সব কর্মীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এসএফআইএল শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া প্রত্যেক এসএফআইএল কর্মীর গায়ে ছিল সবুজ রঙের জ্যাকেট। পুরো অনুষ্ঠানস্থল যেন সবুজে উপচে পড়ছিল।
সেই সবুজের আবহে বক্তব্য দিতে এসে এসএফআইএলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহনুল হাসান খান বলেন, ‘আমরা কোভিডের পিক টাইমে শুরু করেছিলাম। এই সময়ে সবাই ব্যবসা সংকুচিত করছিল। কিন্তু আমরা ভিন্ন ভেবেছি। আমরা ভেবেছি, প্রতিটি প্রতিবন্ধকতা একটি সম্ভাবনা নিয়ে আসে। যে চ্যালেঞ্জটি আমরা গ্রহণ করেছিলাম। আমরা এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেখান থেকে বলতে পারি– আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
কর্মীদের আরও বেশি উদ্যমী হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এসএফআইএলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহনুল হাসান খানবিকেল ৪টায় এসএফআইএলের সব কর্মী, বোর্ড অফ ডিরেক্টরস ও অতিথিদের নিয়ে শুরু হয় টাউন হল মিটিং। এর আগে ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকার কার্যালয় ঘুরে দেখেন চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও প্রকাশক শাহনুল হাসান খান। দুজনকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দৈনিক বাংলার নির্বাহী সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু ও অন্য সংবাদকর্মীরা।
দৈনিক বাংলা কার্যালয় পরিদর্শন শেষে এসএফআইএলের টাউন হল অনুষ্ঠানে যোগ দেন অতিথিরা।
‘ওয়ান টিম ওয়ান ড্রিম’ স্লোগান সামনে নিয়ে শুরু হয় টাউন হল অনুষ্ঠান। যাত্রা শুরুর পর দেড় বছরের অভিযাত্রা নিয়ে একটি অডিও এবং ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
এর পরই এসএফআইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতেজা আহমেদ খান ২০২১ সালের অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। প্রেজেন্টেশন শেষে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে কর্মীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন চেয়ারম্যান ও বোর্ডের পরিচালকরা।
এসএফআইএলের চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা সাহিদপুরস্কার বিতরণ শেষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা সাহিদ বলেন, ‘কোম্পানি অপারেশন শুরুর পর অল্প সময়ে খুব ভালো পারফর্ম করেছে। ২০২১-এর পারফরম্যান্স খুবই ইমপ্রেসিভ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের যে টার্গেট রয়েছে, তা আমাদের পূরণ করতে হবে। এই জার্নিতে চ্যালেঞ্জ থাকলেও তা অতিক্রম করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।’
এসএফআইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরতেজা আহমেদ খান ২০২১ সালের অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেনঅনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তামিম মারযান হুদা, স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসানুল কবীরসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।