বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বনে ফিরে যাচ্ছে সেই ‘বড় বাঘডাশা’

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:২১

ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বড় বাঘডাশা এই অঞ্চলে তেমন দেখা যায় না। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Viverra zibetha. একটি বড় বাগডাশার গড় আয়ু ১৫ বছর পর্যন্ত হয়। যেকোনো প্রাণী কোনো এলাকায় প্রবেশ করলে আটক না করে তাড়িয়ে দিতে হবে। কারণ অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে এসব প্রাণী।’

ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া ইউনিয়নে আটক হওয়া বড় বাঘডাশাটিকে তিন দিন পর বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে গ্রামবাসী।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে প্রাণীটিকে বন কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাণীটি আমাদের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। রোববার দুপুরে এটিকে মধুপুর গড়ে ছেড়ে দেয়া হবে।’

গত বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে ঘাগড়া ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামে জাল ফেলে প্রাণীটিকে আটক করা হয়।

নিউজবাংলাকে ময়মনসিংহ রেঞ্জ অফিসের বন কর্মকর্তা মেজবাইল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাণীটিকে হেফাজতে নিয়ে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গ্রামে যান বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তারা। ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের নির্দেশ না থাকায় সেদিন প্রাণীটিকে নিতে পারেননি তারা। এরপর আরও কয়েক দফা চেষ্টা করলেও প্রাণীটিকে দেয়া হয়নি।

বন কর্মকর্তা বলেন, “প্রাণীটিকে আমাদের কাছে হস্তান্তর না করায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলাম, প্রাণীটির ক্ষতি হলে যার কাছে সেটি আছে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবুও প্রাণীটি আমাদের দেয়া হয়নি। পরে 'নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম' ওই গ্রামের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের ভাগিনা লুৎফর রহমানের সঙ্গে সমঝোতা করে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রাণীটি ফিরিয়ে দিতে রাজি করেন। এর পরই বন কর্মকর্তারা শনিবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে গিয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।‘

তিনি বলেন, ‘প্রাণীটি আমাদের কাছে ফিরিয়ে না দিয়ে ছোট্ট খাঁচায় বন্দি করে রাখার ফলে হয়তো মারাও যেতে পারত। তখন আমরা বাধ্য হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতাম৷’

ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের মোবাইল নম্বরে কয়েক দফা চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এসএমএস দিলেও সাড়া দেননি তিনি।

ইউপি সদস্যের ভাগিনা লুৎফর রহমান বলেন, ‘আটকের পর থেকেই গ্রামবাসী প্রাণীটিকে নিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে। আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে প্রাণীটিকে অনেকে দেখতে ভিড় জমান।

বৃহস্পতিবার বন বিভাগের কর্মকর্তারা আসার সময় বলা হয়েছিল গ্রামবাসী আরও কিছুক্ষণ দেখার পর আপনাদের হাতে হস্তান্তর করা হবে। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ফিরে যান।

তিনি বলেন, ‘এর পর থেকেই প্রাণীটিকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় আমার ঘরে রাখা হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারাও আর আসেননি।

‘প্রাণীটি দিন-রাত হিংস্র আচরণ করে ডাক-চিৎকার দেয়ার কারণে ভালো করে ঘুমাতেই পারিনি। প্রাণীটিও ক্ষুধার্ত হয়ে দিন দিন দুর্বল হচ্ছিল।’

ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যেকোনো বন্যপ্রাণী ঘনবসতি এলাকায় প্রবেশ করলেও আটক কারা ঠিক না। তবুও অনেক সময় ভয়ে গ্রামবাসী সেগুলো আটক করে। তবে এসব প্রাণীকে নিয়ম অনুসারে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করাই শ্রেয়।

‘আমাদের ইউনিয়নে আটক হওয়া প্রাণীটিকে নিয়ে আনন্দ-উল্লাস শেষে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর না হওয়ায় বিপাকে ছিল গ্রামবাসী।’

ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বড় বাঘডাশা এই অঞ্চলে তেমন দেখা যায় না। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Viverra zibetha. একটি বড় বাগডাশার গড় আয়ু ১৫ বছর পর্যন্ত হয়। যেকোনো প্রাণী কোনো এলাকায় প্রবেশ করলে আটক না করে তাড়িয়ে দিতে হবে। কারণ অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে এসব প্রাণী।’

এ বিভাগের আরো খবর