কৌশলে অপহরণের পর বিক্রি করে দেয়া চার বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেও।
শুক্রবার কুমিল্লা থেকে ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ গ্রেপ্তার করে বলে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম ইমরান। আর গ্রেপ্তার ব্যক্তির না ইসমাইল হোসেন ওরফে জীবন ওরফে আকাশ।
শনিবার দুপুরে ডিবি দক্ষিণ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আশরাফ হোসেন বলেন, ‘শিশুটির নানি হামিদা খাতুন রাজধানীর দক্ষিণখানের জামতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার মেয়ে রাশিদা খাতুন বাসাবাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন।
‘বিয়ের দুই বছর পর ছেলেসন্তান হয় রাশিদার। সন্তান জন্মের তিন মাস পর তার স্বামী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ সময় থেকে ইসমাইল হোসেন রাশিদাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করেন এবং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রস্তাব দেন।’
তিনি বলেন, ‘একপর্যায়ে শিশুর মা বাড়িতে না থাকায় কৌশলে গত ১৫ জুন শিশু ইমরানকে বাসা থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান ইসমাইল। রাশিদা ছেলেকে ফিরে পেতে ইসমাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পরও তাকে পাওয়া যায়নি।’
ডিবির ওয়ারী বিভাগের এই কর্মকর্তা জানান, রাশিদা ও তার পরিবারের কেউ লেখাপড়া না জানায় এবং কারও কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা না পাওয়ায় এতদিন রাশিদা এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সহযোগিতা চাননি। এ বিষয়টি ডিবি ওয়ারী বিভাগের নজরে এলে শিশুটিকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ইসমাইলকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জানান, শিশু ইমরানকে নেত্রকোনায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পরে নেত্রকোণার পূর্বধলা এলাকার যাত্রাবাড়ী গ্রাম থেকে শিশু ইমরানকে উদ্ধার করা হয়।
ইসমাইলের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলাসহ তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।