বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মদনে শিক্ষার্থীকে পরপর ৪ ডোজ করোনার টিকা দেয়ার অভিযোগ

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:৩৮

শিক্ষার্থীর স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনার পরই টিকা প্রদানকারী নার্সকে কৌশলে টিকাকেন্দ্র থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ কারণে তার নাম জানা যায়নি।

নেত্রকোণার মদনে এক শিক্ষার্থীকে পরপর চার ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন (টিকা) দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রীর মা ও চাচা। তবে চার ডোজ টিকা দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর।

টিকা নেয়া শিক্ষার্থী আদিবা বিনতে আজিজ মদন উপজেলা সদরের শহীদ স্মরণিকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বয়স ১৪ বছর। সে পৌরসভার মাহমুদপুর গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে।

শিক্ষার্থীর মা রাজিয়া সুলতানা নিউজবাংলাকে জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি তার মেয়ে আবিদা বিনতে আজিজকে নিয়ে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর তাকে ডেকে নেয়া হয়। এরপর একজন নার্স তাকে প্রথম ডোজ টিকা দেন। এ সময় ওই নার্সের ফোনে একটি কল এলে তিনি কথা বলতে বলতে তাকে আরও তিন ডোজ টিকা দিয়ে দেন।’

তিনি বলেন, ‘টিকা নেয়ার পর মেয়ে আমাকে এসে ঘটনাটি জানায়। তখন এটি নিয়ে হইচই শুরু হয়।’

আবিদার ডান হাতে চারটি সিরিঞ্জের পুশের দাগ আছে বলেও দাবি করেন রাজিয়া।

তিনি বলেন, ‘মেয়ের কাছে এ ঘটনা জানার পর আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক রিফাত সাঈদকে জানাতে গেলে তিনি প্রথমে কোনো গুরুত্বই দেননি। আমাদের সঙ্গে রীতিমতো দুর্ব্যবহার করেন। পরপর চারটি টিকা নেয়ার পর আদিবা কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

‘পরে তাকে বেশ কিছুক্ষণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

শিক্ষার্থীর চাচা কলেজশিক্ষক মুখলেছুর রহমানও তার ভাতিজিকে পরপর চারটি টিকা দেয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নার্সরা আমাদের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’

তবে এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, অভিযোগটি সত্য নয়। একজনকে চারবার টিকা দিলে চারবার সিরিঞ্জে ওষুধ নিতে হয়। এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া শিক্ষার্থীও বর্তমানে সুস্থ আছে। তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া টিকা দেয়ার দায়িত্বে থাকা নার্সরা যাতে আরও সচেতন থেকে টিকা দেন, সে ব্যাপারেও তাদের সতর্ক করা হয়েছে, জানান তিনি।

শিক্ষার্থীর স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনার পরই ওই নার্সকে কৌশলে টিকাকেন্দ্র থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ কারণে তার নাম জানতে পারেননি তারা।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন সেলিম মিয়ার বক্তব্য জানতে তাকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিভাগের আরো খবর