বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এসএমই খাতে শতভাগ প্রণোদনা বাস্তবায়ন চায় ঢাকা চেম্বার

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:১০

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘শিল্প খাতে ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উৎপাদনমুখী শিল্প বা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ৪৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত। তবে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও নীতিগত সহায়তার অভাবে এই খাতের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না।’

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে শতভাগ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন চায় ঢাকা চেম্বার অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)। একই সঙ্গে এ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ঋণপ্রাপ্তি সহজ ও নিশ্চিত করার কথা বলেছেন তারা।

শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত এক কর্মশালায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

‘ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র শিল্প খাতে ঋণ-প্রণোদনা প্যাকেজ প্রাপ্তির পদ্ধতি ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এ কর্মশালায় ঢাকা চেম্বার প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. জাকের বক্তব্য দেন।

কর্মশালায় বক্তরা বলেন, সরকার এসএমই খাতের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও এ তহবিল থেকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ঋণ পাননি সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারা।

এর কারণগুলো হচ্ছে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাব, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের সংজ্ঞা নিয়ে জটিলতা, উদ্যোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকা, জামানতসংক্রান্ত সমস্যা এবং এসএমই ডাটাবেজের অনুপস্থিতি ইত্যাদি।

স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘শিল্প খাতে ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উৎপাদনমুখী শিল্প বা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ৪৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত।

‘তবে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও নীতিগত সহায়তার অভাবে এই খাতের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না।’

তিনি জানান, করোনা মহামারির কারণে ক্ষুদ্র , অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পুনরুদ্ধারে দুই ধাপে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।

রিজওয়ান রাহমান জানান, কিন্তু নানা জটিলতার কারণে কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাননি উদ্যোক্তারা। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এ খাতের জন্য অর্ধেক ঋণ এখনও বিতরণ সম্ভব হয়নি।

এ অবস্থায় সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এ খাতের উদ্যোক্তাদের পুনরুজ্জীবিত করতে প্রণোদনা প্যাকেজের শতভাগ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই বলে মত প্রকাশ করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. জাকের হোসেন বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের অবদানের বিষয়টি মাথায় নিয়েই বাংলাদেশ ব্যাংক করোনা মহামারি মোকাবিলায় এ খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য দুই দফায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে এ ঋণ বিতরণের হার সন্তোষজনক নয়।’

তিনি উল্লেখ করেন, প্রথম ধাপের ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপে চলতি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ৬ হাজার ২১৭ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়, যা মোট ঋণের মাত্র ৩১ শতাংশ। অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি এসএমই খাতের পুনরুদ্ধারে এই ঋণ বিতরণের চিত্র মোটেই কাম্য নয়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় টাকার বরাদ্দ থাকার পরও উদ্যোক্তা এবং আর্থিক খাতের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না।’ মাঠপর্যায়ে উদ্যোক্তা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভ্রান্ত ধারণার কারণেই ঋণ বিতরণের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

জাকের হোসেন আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে খুলনা, রংপুর এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রান্তিক পর্যায়ের ঋণ বিতরণের অবস্থা পর্যালোচনা এবং ওই এলাকা সফর করেছে। ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘দেশের এসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে হলে তাদের অবশ্যই ব্যাংকমুখী করে হবে এবং সত্যিকারের উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর