দেশের উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টিউলিপ বাগান সপরিবারের ঘুরে দেখেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শারিয়ালজোত ও দর্জিপাড়া গ্রামের আট নারীর টিউলিপ বাগান শনিবার দুপুরে পরিদর্শন করেন তিনি।
পরে তিনি ইকো সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) তেঁতুলিয়ার মহানন্দা কটেজে দুপুরের খাবার খেয়ে বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টে রওনা করেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীসহ সংবাদমাধ্যম ও ইউএসডিওর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটা আমার একান্তই পারিবারিক ভ্রমণ। টিউলিপ চাষের খবর শুনেছি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। টিউলিপের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত। ঠান্ডার দেশের টিউলিপ তেঁতুলিয়ায় ক্ষুদ্র চাষিরা আবাদ করেছেন, এটা সত্যি গৌরবের ব্যাপার। এই সম্ভাবনাময় উদ্ভাবন জেলার মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়িয়ে কৃষি অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করবে।’
এদিন সকালে পরিবার নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বার আউলিয়ার মাজার পরিদর্শন করেন। বিকেলেই তার নিজ বাসভবন ঠাকুরগাঁওয়ে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
পল্লী সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসপি) ও ইকো সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রথম খামার পর্যায়ে তেঁতুলিয়ায় টিউলিপের বাগান হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি উপজেলার দর্জিপাড়া এবং শারিয়ালজোত গ্রামের আট চাষি ৪০ শতক জমিতে ছয় প্রজাতির ৪০ হাজার টিউলিপের বীজ লাগান।আরও পড়ুন: ওপারে কাঞ্চনজঙ্ঘা, এপারে ফুটেছে টিউলিপ
পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করলেও মাস পেরোনোর আগেই বাগানে হাসতে শুরু করেছে টিউলিপ। টিউলিপের এমন হাসি দেখে অভিভূত সবাই। সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হওয়ারও আশা করছেন চাষিরা।
২৫-২৮ দিনের মাথায় ফুল ফোটার কথা থাকলেও তেঁতুলিয়ায় ২৩ দিনের মাথায় টিউলিপ ফোটা শুরু করেছে। ছয় প্রজাতির টিউলিপ ছয় রঙে ফুটছে। তবে বেগুনি রঙের টিউলিপই এখন বেশি ফুটছে।
টিউলিপ ফুটতে না ফুটতেই বাগানগুলোয় ছুটে আসছেন পর্যটকরাও।