ব্যর্থতার দায় নিয়ে ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মুন্সী পদত্যাগ করেছেন।
আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের হলরুমে শনিবার বেলা ১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শহীদুল্লাহ মুন্সী বলেন, ‘আমি প্রায় ২০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আট বছর ধরে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।
ক্ষোভ ও হতাশা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় আমি কর্মীদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মঞ্চে আমাকে চেয়ার দেয়া হয় না, নাম ঘোষণা করে না। স্বেচ্ছাসেবক লীগ করায় বরাবরই আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
‘আমি কর্মীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে পারি না। তাই সব ব্যর্থতার দায় নিয়ে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাছে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। তবে আমি আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাব।’
এর পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া এ নেতা। এ সময় তার পাশে উপস্থিত কয়েকজন তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মনির হোসেন উপস্থিত থাকলেও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আর কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
তার পদত্যাগের বিষয়ে নিউজবাংলাকে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘এটা তো পাগলামি ছাড়া কিছু না। সে পদত্যাগ করলে আমার কাছে তো পদত্যাগপত্র সরাসরি নিয়ে আসবে।
‘কেউ যদি তাকে হেয় করে থাকে, তাহলে লিখিত আকারে আমাকে দিতে হবে। কিন্তু সাংবাদ সম্মেলন করার মানে কি? এর মানে দলকে খাটো করা, ছোট করা।’
পদত্যাগপত্র পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সাংগঠনিকভাবে কোনো পদত্যাগপত্র দেয়া হয়নি। ফেসবুকে যা দিয়েছে, সেটা তো হয় না।’