মুখোমুখি বসে আছে চাচা-ভাতিজার দল। দুই দলেরই সদস্য ২০ জন। কারও বয়স ১৮, আবার কারও ৬০ বছর।
রাত ৯টা বাজলেই তারা শুরু করেন খিচুড়ি আর গরুর মাংস খাওয়া। যে দল বেশি খিচুড়ি-মাংস খেতে পারবে, তারাই হবে বিজয়ী।
বরিশাল নগরীর ভাটিখানা শরীফ বাড়ির গলিতে শুক্রবার এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কয়েক বছর ধরে স্থানীয়দের নিয়ে এই ভিন্নধর্মী আয়োজন করছেন টুলু শরীফ।
তিনি জানান, প্রতিযোগিতায় চাচা ও ভাতিজা নিয়ে ২০ জনের দুটি দল থাকে। দুই দলের জন্য মোট ২ মণ খিচুড়ি ও ৩০ কেজি গরুর মাংস রান্না করা হয়। ৭৫ মিনিট বা সোয়া এক ঘণ্টার মধ্যে যে দল বেশি খেতে পারবে তারাই জয়ী।
চাচা-ভাতিজাদের খাওয়া দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। নানাভাবে উৎসাহ দেন তারা।
খিচুড়ি খেয়ে ট্রফি হাতে বিজয়ী দল। ছবি: নিউজবাংলা
নির্দিষ্ট সময় পর দেখা যায়, ভাতিজারা খেয়েছেন ৩৮ কেজি খিচুড়ি আর ১৫ কেজি গরুর মাংস। চাচার দলও শেষ করেছেন ১৫ কেজি মাংস তবে খিচুড়ি খেয়েছেন ৩২ কেজি।
ভাতিজা দলের শাহিন খান বলেন, ‘খাওন শুরু হইতে খালি দেরি। তারপর কোনো থামাথামি ছিল না। একটানা চালাইয়া ২০ জনে ৩৮ কেজি খিচুড়ি আর ১৫ কেজি মাংস সাবাড় করছি। মোগো অনেক পেছনে ছিলে চাচারা।’
ভাতিজাদের দলকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও দুই দলই জানায়, তারা সমান আনন্দ পেয়েছেন।
চাচা দলের আব্দুল খালেক বলেন, ‘গতবার তো আমরা চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। এবার ভাতিজারা হইছে। তয় ভালো লাগছে সবাইর লগে দেহা হওনে। খাওন শেষ করার ব্যাপক চেষ্টা করছি। এবার আর অগো লগে পারি নাই।’
প্রতিযোগিতা শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনিভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বরিশাল সুপার আতিকুল ইসলাম বিজয়ী ও বিজিতদের হাতে ট্রফি তুলে দেন।