হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান ২৬ বছর বয়সী মুক্তা খাতুন। ক্লিনিক থেকে তার মরদেহ নেয়া হয় বাড়িতে। সন্ধ্যায় মরদেহ গোসলের সময় নড়ে উঠছে মনে হতেই দ্রুত তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আবার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের পূর্বপাড়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মুক্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুব এ খোদা।
মুক্তা খাতুনের বোন রত্না খাতুন জানান, শুক্রবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন মুক্তা। তাকে নেয়া হয় আলমডাঙ্গার ফাতেমা টাওয়ার ক্লিনিকে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখানেই ভর্তি রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান মুক্তা।
ক্লিনিকের মালিক মঞ্জুর আলী বলেন, ‘শুক্রবার সকালে মুক্তাকে অসুস্থ অবস্থায় আমাদের এখানে আনা হয়। তাদের পরিবারের লোকজন বলেন, মুক্তা খাতুন চোখে দেখছেন না। তার মাথা ঘুরছে। ডা. শামসুল আলম ও ডা. কামরুন নাহার ওই রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এখানেই ভর্তি রাখেন। তারাই একসময় মুক্তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এরপর মুক্তার মরদেহ নেয়া হয় রোয়াকুলি গ্রামের পূর্বপাড়ায় তার বাড়িতে।
রত্না বলেন, ‘মরদেহ গোসলের জন্য নেয়া হলে হঠাৎ নড়ে ওঠে মুক্তা। শরীরটা গরম গরম লাগছিল। মনে হচ্ছিল আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর আমরা আবার তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুব এ খোদা বলেন, ‘সন্ধ্যায় মুক্তা খাতুন নামের এক নারীকে জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। আমরা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত অবস্থায় পাই। এখানে আনার অনেক আগেই তিনি মারা গেছেন বলে তার পরিবারকে জানানো হয়।’
এরপর রাত ১০টার দিকে মুক্তাকে দাফন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘মৃত্যুর পর মানুষের শরীর শক্ত হয়ে যায়। সে কারণে মরদেহ স্পর্শ করলে সব শরীর নড়ে ওঠায় মনে হতে পারে মৃত ব্যক্তি নড়ছে।’
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর মুক্তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখান থেকে জানা যায়, তিনি অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছেন। তার মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক।’