‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’- অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রথম ধাপে বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে সার্চ কমিটি।
রাষ্ট্রপতি গঠিত অনুসন্ধান বা সার্চ কমিটির আমন্ত্রণে শনিবার ১১টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে শুরু হয় বৈঠকটি।
শনিবার প্রথম বৈঠকে ২০ বিশিষ্ট নাগরিককে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানায় সার্চ কমিটি। বৈঠক শুরুর সময় পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত হয়েছেন ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে বৈঠক শুরুর আহ্বান জানান সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে বৈঠকে অংশ নিতে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বৈঠক করতে সুপ্রিম কোর্ট ভবনে প্রবেশ করেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম, আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী প্রবেশ করেন সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল প্রবেশ করেন ১০টা ৩৩ মিনিটে।
১০টা ৪৫ মিনিটে সেখানে প্রবেশ করেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান ১০টা ৪৮ মিনিটে উপস্থিত হন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে।
আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ১০টা ৫২ মিনিটে আসেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন।
উপস্থিত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারও।
এ ছাড়া বৈঠকে অংশ নিতে উপস্থিত হয়েছেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাকসুদ কামাল,সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক, ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ,ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খানম।
উপস্থিত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
তবে বৈঠকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপস্থিত হতে পারেননি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান প্রমুখ।
বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী ইসি গঠন করা হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি সিইসি ও ইসি নিয়োগে জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়। ২৩ জানুয়ারি সিইসি ও ইসি নিয়োগ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সে সময় বিএনপির সংসদ সদস্যরা বিলটির বিরোধিতাও করেছিলেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য বিলটি উত্থাপনের পক্ষে মত দিলে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পাঠানো হয় স্থায়ী কমিটিতে।
বিলে বলা হয়, সিইসি ও ইসি হতে গেলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধাসরকারি বা বেসরকারি পদে তার কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বিল পাসের আগেই ইসি গঠনে সংলাপ আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সংলাপ শেষে একটি সার্চ কমিটি গঠন করে দেন তিনি। সে কমিটি ইসি গঠনে এখন যোগ্য প্রার্থী খুঁজতে কাজ করছে।