এক দশকেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিচার না হওয়াকে নিজেদের ব্যর্থতা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা দুঃখিত। এই বিচারটি শেষ করা উচিত। মামলার চার্জশিট দিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করবে- এই আশা আমি ব্যক্ত করছি।
‘আমাদের এটি একটি ব্যর্থতা। আইন বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের দায়িত্ব হবে বিচারটি দ্রুত শেষ করা।’
টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের পরিচিতি অনুষ্ঠান ও টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুক্রবার রাতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন কমিশন নিয়ে সেই আগের মতোই বলছে, তারা নির্বাচন করবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে নাসহ নানা রকম তিরস্কারমূলক ও কটূ মন্তব্য করছে। তাদের একই কথা বারবার ঘুরিয়ে বলছে।
‘তাদের মূল কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমি তাদের বলতে চাই, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে আর কোনো নির্বাচন হবে না। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে নির্বাচন হয় না।’
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। এটি বিএনপির ভুল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে না এসে ভুল করেছিল। তারা সন্ত্রাসের পথে গিয়েছিল। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিল। ২০১৫ সালে ৯০ দিন টানা হরতাল করেছে।
‘তারা গাড়ি পুড়িয়েছে, রেললাইন তুলে দিয়েছে, বিদ্যুতের লাইন কেটেছে, স্কুল-কলেজে আগুন দিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এর জন্য বিএনপিকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। আবার যদি তারা নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয় তাহলে একই পরিণতি হবে।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকবে, তাদের তেমন কোনো ক্ষমতা থাকবে না। ক্ষমতা থাকবে নির্বাচন কমিশনের।
‘আমাদের সংবিধানের ১২৬ ধারায় সুস্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে সব নির্বাহী সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপিদের দায়িত্ব হবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। কমিশনের স্বাধীনতার জন্য অনেক ক্ষমতা সংবিধানে আছে। তারা কোনোভাবেই সরকারের ওপর নির্ভরশীল নয়।’