দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ, পুরস্কার পাওয়ার তারিখ যেমন ঠিক নেই, তেমনই পুরস্কারদাতাদের ওয়েবসাইটে তার নাম নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম জিয়ার জন্মতারিখ পাঁচটা, বিবাহ রেজিস্টারে একটা, পাসপোর্টে একটা, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্রেডেনশিয়ালসে একটা, ম্যাট্রিকুলেশনে যেটাতে তিনি ফেল করেছেন সেখানে একটা, আবার কোভিড সনদে একটা। আবার তিনি পুরস্কার পেয়েছেন ৩১ জুলাই ২০১৮, আর জানা গেল ২০২২ সালে। আর যে সংস্থা থেকে সে পুরস্কার দেয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, তাদের ওয়েবসাইটে আবার তার নাম নেই।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের তেলেসমাতি দেখার পর জনগণ যখন তাদের নিয়ে হাসছে, তখন বেগম জিয়ার সভাসদরা উদভ্রান্তের মতো কথা বলছেন।’
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটি আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসানোরই ষড়যন্ত্র বলে বিএনপির নেতারা যে মন্তব্য করেছেন, তারও উত্তর দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির উন্মেষটাই তো ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আর মানুষের লাশের ওপর দিয়ে। তারা সব সময় ষড়যন্ত্রের মধ্যেই থাকেন বলে সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র দেখতে পান।’
পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও সার্চ কমিটির মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় না বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বরং অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন করা হয়েছে এবং সে কমিটি কাজ শুরু করেছে।’
নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের একজন কনস্টেবল বদলির ক্ষমতাও সরকারের হাতে থাকে না। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এগুলো ভালো করেই জানেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন বলেই এসব কথা বলছেন। তাদের না বলা বাতিক নিয়ে আমি শঙ্কিত।’
এর আগে বিআইসিসি হলে ‘আহবাবুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২১’-এর গ্র্যান্ড ফিনালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা আলেম সমাজকে ধোঁকা দিয়েছে, তাদের শিক্ষাপদ্ধতির স্বীকৃতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করেছে, তাদের না বলতে হবে। আর যারা আলেমদের জন্য কাজ করেছে, প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে, তাদের হ্যাঁ বলতে হবে।’