বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ফাঁসির রায়ের ৭ বছর পর কায়সারের মৃত্যু

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:২৬

শাহবাগ থানার এসআই অমল কৃষ্ণ দে জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার সাত বছর পর মারা গেছেন সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার।

কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কায়সার। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অমল কৃষ্ণ দে জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি এবং ধর্ষণের দুটিসহ ১৬টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি প্রমাণ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ে।

৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া তার আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২২ বছরের সাজাও হয় কয়েকটি অভিযোগে।

ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। পরে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করেন কায়সার।

নিহতের ছোট ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল বলেন, তারা মরদেহ বুঝে নিয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার করেনোয়াপাড়ার গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করবেন।

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এরশাদ সরকারের মন্ত্রিসভায় কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত হন।

হবিগঞ্জের মাধবপুরের ইটাখোলা গ্রামে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের জন্ম ১৯৪০ সালে। কায়সারের বাবা সৈয়দ সঈদউদ্দিন ১৯৬২ সালে সিলেট-৭ আসন থেকে কনভেনশন মুসলিম লীগের এমএলএ নির্বাচিত হন।

ওই বছরই মুসলিম লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন কায়সার। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত কায়সার মুসলিম লীগ সিলেট জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পরাজিত হন।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় ৫০০ থেকে ৭০০ ‘স্বাধীনতাবিরোধী’কে নিয়ে ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করেন মুসলিম লীগের এই নেতা। তিনি নিজে ছিলেন ওই বাহিনীর প্রধান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করার ঠিক আগে কায়সার পালিয়ে লন্ডনে চলে যান। দেশে ফেরেন ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর।

এ বিভাগের আরো খবর