ভারতের রাজস্থান সরকার দুর্নীতি দূর করতে নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন সরকারি এক কর্মকর্তা। নিজের দোষ ঢাকতে তিনি বলেছেন, ‘ঘুষ তো মন্দিরের প্রসাদ। কেউ দিলে তা নিষেধ করতে নেই।’
এমন মন্তব্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। সরকারি ওই কর্মকর্তার এমন মন্তব্যে পড়েছে শোরগোল।
ঘুষ নিতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটেছে রাজস্থান রাজ্যের জয়পুরে। ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়া ওই কর্মকর্তার নাম মমতা যাদব।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, রাজস্থানের জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অফিসে দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ছিল ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। খবরটি জানতে পারেন রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার কর্মকর্তারা। পরে সেই অফিসে চালান অভিযান।
অভিযান চালিয়ে এক কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন শাখার কর্মকর্তারা।
ওই শাখার এক কর্মকর্তা জানান, জয়পুরের সিদ্ধার্থনগরের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন তারা দুই বন্ধু একটি জমির পাট্টা পেতে জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অফিসে যান। পাট্টা পেতে তাদের কাছে মমতা ৬ লাখ টাকা এবং সেখানকার ইঞ্জিনিয়ার শ্যাম মালু সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন।
এরপর এই খবর পৌঁছায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে। পরে তিনিই নজরদারি শুরু করেন তার দল দিয়ে।
এমনকি ঘুষ নেয়ার বিষয়টি ধরতে আগেই পরিকল্পনা কষেন ওই পুলিশকর্তা।
দুই বন্ধু জমির পাট্টা নিতে হাজির হন জয়পুর ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষের অফিসে। তাদের সঙ্গে ছিলেন সাদা পোশাকে পুলিশও।
সেখানে টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয় ইঞ্জিনিয়ার শ্যাম মালুকে। পরে তার জেরায় ধরা হয় আরও চারজনকে।
সবশেষ ঘুষ নেয়ার সময় ধরা পড়েন মমতা যাদব। তার কাছ থেকে এ সময় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পান দুর্নীতি দমন বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ সময় তাকে জেরা করলে মমতা বলেন, ‘ঘুষ তো মন্দিরের প্রসাদ। কেউ দিলে তা নিষেধ করতে নেই।’