সরকারের চুরির, ডাকাতির নির্বাচনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপির) এই সভার আয়োজন করে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকার থাকলে সার্চ কমিটি তাদের হবে। এই সার্চ কমিটিকে শেখ হাসিনা সরকার যাদের নাম দেবে তারাই নির্বাচন কমিশনার হবে। এটাতে অংশ নেয়া, এটা নিয়ে মাথা ঘামানো আমরা মনে করি অর্থহীন। সার্চ কমিটি গঠন ক্ষমতায় টিকে থাকার সরকারের আরেকটি নাটক। এটা গঠন করা হয়েছে সরকারের চুরির, ডাকাতির নির্বাচনের জন্য।’
রাষ্ট্রপতি সংলাপের নামে নাটক করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এটা একটা নাটক ছিল। কেননা সরকার দেশের জনগণকে আবার ধোঁকা দেয়ার আইন করেছে।
‘এখন নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে। রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে কিন্তু সেটা করা হয়নি, এটা করা হয়েছে আইনের মাধ্যমে। যাদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। তারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচন হতে পারে না। ২০ দলীয় জোট আগেই জানিয়েছে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। কেননা শেখ হাসিনার অধীনে দুটি নির্বাচনে প্রমাণিত যেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। জনগণ ভোট দিতে পারে না, সেই নির্বাচনের কোনো অর্থ হয় না।’
তিনি বলেন, ‘সামনে ডাক আসছে। যার যার অবস্থান থেকে এক হয়ে একই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করব। সবাই এক হয়ে এই সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নিতে বাধ্য করব।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে যে কোনো স্বৈরাচার সরকার যে পথে বিদায় হয়েছে সেই রাজপথই আমরা বেছে নিতে বাধ্য হবো।’
বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘বিদেশে যে দূতাবাসগুলো রয়েছে তাদের দেশের ও জনগণের পক্ষে কাজ করার কথা। কিন্তু তা না করে তারা সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়, আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
‘জনগণের টাকায় যারা বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন তারাও জনগণের কথা না বলে আওয়ামী লীগের কথা বলছেন।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। এতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আবু তাহের, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাসার, আমেরিকা ইন্টার স্টেট বিএনপির সভাপতি কাজী শওকত হোসেন আজম প্রমুখ।