গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ১৩টি প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় এবার ওয়াল্ডলাইফ সুপারভাইজারকে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে পার্কের প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসককে বদলি করা হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা দীপংকর কর বৃহস্পতিবার রাতে নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওয়াইল্ডলাইফ সুপারভাইজার সারোয়ার হোসেন আফ্রিকান সাফারিতে থাকা প্রাণীগুলোর দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। এখন তার পরিবর্তে এ দায়িত্ব পালন করবেন ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মোহাম্মদ হেলিম রায়হান।
পার্কের প্রকল্প পরিচালক মোল্ল্যা রেজাউল করিম জানান, সরকারি চাকরির স্বাভাবিক বদলির অংশ হিসেবেই সারোয়ার হোসেনকে তার পদ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
চলতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পার্কে একে একে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ এবং একটি সিংহের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে।
পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, সীমানাপ্রাচীরের ভেতর থেকে খাবার পাচার, জেব্রা ও বাঘ মৃত্যুর ঘটনাটি গোপন রাখা এবং জেব্রাগুলোকে হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন মহল থেকে পার্কের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা ওঠায় গত ৩১ জানুয়ারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান ও চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইনকে বদলি করা হয়।
পরে গত ২ ফেব্রুয়ারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবিরকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা তদন্তে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৬ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময়সীমা আরও ১০ দিন সময় বাড়ানো হয়।