বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ঢাকা ও টোকিওতে নানা আয়োজন

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০২:১২

দিনটি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় নিয়োজিত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ছুটে যান ৭১-এর বীর শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে গভর্নর ফজলে কবিরের হাতে তুলে দেন দুই দেশের সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তীর স্মারক মুদ্রা।

১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল জাপান। সে হিসেবে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ পূর্ণ হলো বৃহস্পতিবার।

এ উপলক্ষে এদিন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ঢাকা ও টোকিওতে।

দিনটি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় নিয়োজিত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ছুটে যান ৭১-এর বীর শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতে।

এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে গভর্নর ফজলে কবিরের হাতে তুলে দেন দুই দেশের সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তীর স্মারক মুদ্রা।

অন্যদিকে টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করে।

দূতাবাস স্থানীয় একটি স্বনামধন্য হোটেল নিউ ওটানিতে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করে। বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গে এই ভেন্যুটির ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাপানে ঐতিহাসিক ও প্রথম সরকারি সফরের সময় এই হোটেলে অবস্থান করেছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি স্থানীয় দূতাবাস, মন্ত্রণালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া ও অ্যাকাডেমিয়াসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান। জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় উপমন্ত্রী হোন্ডা তারো প্রধান অতিথি ছিলেন অনুষ্ঠানে।

রাষ্ট্রদূত আহমেদ তার স্বাগত বক্তব্যে ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুযারি সদ্য স্বাধীন দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জাপান এবং এর জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত বন্ধুত্বের অটল নিদর্শন প্রদর্শন করছে দুই দেশ। একসঙ্গে পথ চলা, সংহতি, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়া ছিলো চমৎকার।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অতীত ও বর্তমানকে তুলে ধরে কূটনৈতিক আর্কাইভ ডকুমেন্টস এবং ফটোগ্রাফের একটি প্রদর্শনী, জাপান পোস্টের স্মারক স্ট্যাম্পের নকশা উন্মোচন ও জাপান মিন্টের স্মারক মুদ্রা উপস্থাপন করা হয়।

১৯৭৩ সালের ১৮-২৪ অক্টোবর জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক জাপান সফরে ‘স্বাগত বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের ভিডিও দেখার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

এদিকে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ঢাকায় জাতীয় স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে কোন প্রয়োজনে জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে গভর্নর ফজলে কবিরের হাতে তুলে দেন দুই দেশের সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তীর স্মারক মুদ্রা।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে জাপান দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীর এই শুভ অনুষ্ঠানে স্মারক মুদ্রা বাংলাদেশে পৌঁছে দিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর