বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবির হলে শিক্ষার্থীর গায়ে হলুদ

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:১০

হলের একটি খাটের ওপর বিছানার চাদর বসিয়ে ঝোলানো হয় গাঁদা ফুল আর সামনে রাখা হয় কয়েক জাতের ফল। পেছনের ব্যানারে লেখা ‘রবিনের গায়ে হলুদ’। আর বন্ধুরা গায়ে মাখিয়ে দিচ্ছিলেন হলুদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের কাছে ‘জামাই হল’ নামে পরিচিত সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে গায়ে হলুদের আয়োজন করা হলো এক শিক্ষার্থীর।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান রবিনের গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয় এ হলে।

আয়োজনে হাবিবুরের বন্ধু, ছোট এবং বড় ভাইয়েরা অংশ নেন। তবে এই গায়ে হলুদের আয়োজন ছিল খুবই সাদামাটা।

হলের একটি খাটের ওপর বিছানার চাদর বসিয়ে ঝোলানো হয় গাঁদা ফুল আর সামনে রাখা হয় কয়েক জাতের ফল। পেছনের ব্যানারে লেখা ‘রবিনের গায়ে হলুদ’। আর বন্ধুরা গায়ে মাখিয়ে দিচ্ছিলেন হলুদ।

হাবিবুরের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। যার সঙ্গে হাবিবুরের বিয়ে হচ্ছে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াফা বিনতে ওয়াকির। থাকেন রোকেয়া হলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে ঠিক হয়েছে। শুক্রবার মেয়ের বাড়ি কুমিল্লাতে তাদের আকদ অনুষ্ঠিত হবে। বিয়ের বাকি অনুষ্ঠান হবে রোজার ঈদের পর।

আকদ উপলক্ষে হল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন হাবিবুর। তবে বন্ধুদের অনুরোধ, তিনি যেন বিকেলের দিকে হল থেকে বের হন। এরপর এক বন্ধুর ডাকে রুম থেকে বের হন হাবিবুর।

বের হওয়ার পরই হাবিবুরকে কোলে তুলে নেন বন্ধুরা। নেওয়া হয় পূর্ব থেকেই সাজিয়ে রাখা স্টেজে। বন্ধুদের এমন আয়োজনে অপ্রস্তুত হাবিবুর বিস্মিত হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে হাবিবুর বলেন, ‘এমন আয়োজনের বিষয়ে আমি মোটেও জানতাম না। বন্ধু,বড় এবং ছোট ভাইরা মিলে আমাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে। বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করলে সব বন্ধু অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবে না। সেজন্য ক্যাম্পাসে এমন ভিন্নধর্মী এ গায়ে হলুদ আয়োজন করেছে আমার সহপাঠীরা। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

তিনি বলেন, ‘আমি মূলত বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলাম। এক বন্ধু বলেছিল বিকেলে বাড়ি যা। হঠাৎ দুপুর দুইটা-আড়াইটার দিকে আমাকে তারা রুম থেকে নিয়ে আসে। আমার বন্ধু রাব্বি,কাউসার এবং মারুফ এরাই মূলত পরিকল্পনা করে এই আয়োজনটা করেছে।’

এ বিষয়ে হাবিবুরের বন্ধু লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন বলেন, ‘হাবিবুর পারিবারিকভাবেই বিয়েটা করছে। তাদেরকে আমরা অনেকদিন থেকেই চিনি। প্রথম বর্ষ থেকে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল।

‘আন্দন্দটা যেন নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে পারি সেজন্যই হলের মধ্যে গায়ে হলুদের আয়োজনটা করা।’

এ বিভাগের আরো খবর