দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা উন্নয়নে সহায়তা দেবে জার্মান উন্নয়ন সংস্থা-জিআইজেড।
কারখানা পর্যায়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটির সক্ষমতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। এই কার্যক্রমের অধীনে শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যও রয়েছে। শিগগিরই এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে সই করেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, জিআইজেডের প্রকল্প সমন্বয়কারী মাইকেল ক্লোড ও ব্যবসা ব্যবস্থাপনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পার্টিসিপ জিএমবিএইচের উপদেষ্টা মঞ্জুর মোর্শেদ।
রাজধানীতে বিজিএমএ’র গুলশান কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানার পার্টিসিপেশন কমিটি, সেফটি কমিটি ও এন্টি-হ্যারাসমেন্ট কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরাসরি সহায়তা দেবে জিআইজেড। এসব কমিটির যে সব সদস্য ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তারা বাকি সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা উন্নয়নে গত ৮ বছরে নজিরবিহীন উদ্যোগ গ্রহণ এবং অগ্রগতি অর্জন করেছে দেশের পোশাক খাত। অগ্নি মহড়া, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ইস্যু, সামাজিক সংলাপ এবং সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক সবই ছিল এই কার্যক্রমের আওতায়। জিআইজেড এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ায় কারখানার বিভিন্ন কমিটি, শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে পোশাক খাত আরও উপকৃত হবে।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ, রাজীব চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এএনএম সাইফুদ্দিন ও জিআইজেডের সিনিয়র উপদেষ্টা সারওয়াত আহমেদ।
জার্মান এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন বা জিআইজেড হলো জার্মান সরকারের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এই সংস্থা ১৩০টিরও বেশি দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে।