হোটেল-রেস্তোরাঁসহ ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ভ্যাটের হার কমাতে প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া ভ্যাট ও ট্যাক্স জমা দেয়ার পদ্ধতি সহজ করতে বলেন তারা।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে বৃহস্পতিবার প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নেন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গেস্ট হাউসসহ অন্যান্য খাতের ব্যবসায়ীরা। সেখানেই এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি শুনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘রাজস্ব কাঠামোকে শক্তিশালী করতে আমরা সহজে যাতে রিটার্ন দেয়া যায় সে ব্যবস্থা শুরু করেছি। এ জন্য অনলাইনে রিটার্ন নেয়া শুরু করেছি। এ পর্যন্ত অনলাইনে ৬৭ হাজার মানুষ রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
‘অনেক খাতেই ভ্যাট ও কর কমানো হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য কর নেট বাড়ানো। আমরা বিশ্বাস করি- কর নেট যত বাড়বে, কর রেট ততই কমবে।’
বিনা শুল্কে টুরিস্ট ভেহিকল আমদানির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশেষ সুবিধা দিলে তার অপব্যবহার হয়। এ জন্য যে খাতকে সুবিধা দিতে চাই, তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। সুনির্দিষ্টভাবে পর্যটন খাতে বিশেষ এ সুবিধা নিশ্চিত করা কঠিন।
‘এর আগে অ্যাম্বুলেন্স আমদানিতে সুবিধা দিয়েছিলাম। তখন অ্যাম্বুলেন্সের নামে মাইক্রোবাস আমদানি শুরু হয়ে যায়। এ জন্য সুবিধার অপব্যবহার রোধ করতে চায় এনবিআর।’
সভায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান নিম্ন ও মাঝারি মানের রেস্তোরাঁ (বাংলা খাবার) ও স্ট্রিট ফুডের ক্ষেত্রে ভ্যাট সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ এবং ট্যাক্সের হার সর্বোচ্চ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, ‘তারকা চিহ্নিত হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোয় বিত্তবানরা সার্ভিস নেন, অথচ সেখানে রেয়াত নেয়ার সুযোগ আছে। এসব হোটেল-রেস্তোরাঁর ভ্যাটের হার হবে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ। যে রেস্টুরেন্টে বিদেশি খাবার বিক্রি হয় সেখানে ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ হতে পারে।
‘তবে শিল্প-কারখানা ও করপোরেট ক্যাটারিং সার্ভিসের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হতে পারে। সেখানে ট্যাক্স সর্বোচ্চ ১ শতাংশ করা দরকার।’
সভায় ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (টোয়াব), বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।