দীর্ঘ আট বছর কোনো নিয়োগ না থাকায় ৩০ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক বেকার হয়ে পড়েন। আর চিকিৎসা সংকট মোকাবিলায় তাদের দ্রুততম সময়ে নিয়োগের দাবি জানিয়েছে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাস্তবায়ন পরিষদ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক মুহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘৩০ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক বেকার। ২০১৪ সালের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিয়োগ নেই। চার হাজার উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের পদ শূন্য। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাযুদ্ধে একেবারে সামনের সারিতে লড়াই করেছেন ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা। তাই বর্তমান চিকিৎসা সংকটের এই মুহূর্তে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের নিয়োগ খুবই জরুরি।’
সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘আজ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরাই বারবার বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হচ্ছি। আমাদের পেশাগত কর্মক্ষেত্রে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। কোর্স কারিকুলাম ও বোর্ডের বিষয়ে যে হটকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বুঝে আসে না কেনইবা আমরা বারবার এ ধরনের বৈষ্যমের শিকার হচ্ছি। তাই আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়োগের বিষয়ে দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করছি।’
তবে নিয়োগের বিষয়ে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত না পেলে রাজপথে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগের জন্য চারটি দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে (উভয় অধিদপ্তরে) উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের যেসব শূন্য পদ রয়েছে, সেসব শূন্য পদে নিয়োগ; দ্রুততম সময়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ; চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ; কোভিড-১৯ মোকাবিলায় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার পদ সৃষ্টি করে অ্যাডহক নিয়োগ।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাংগঠনিক সমন্বয়ক আদনান মাহাবুব, দপ্তর সমন্বয়ক হামিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পুষ্প রাণী, রুবেল হোসাইন ও ইউনুস আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।